বিহারী বাবু তৃণমূলের প্রার্থী, ক্ষুব্ধ বাংলাপক্ষ

যাত্রা শুরুর সময় থেকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া শুরু করেছিল বাংলাপক্ষ। সেই স্লোগান এখন তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা যায়। সেই স্লোগানের উপরে ভর…

যাত্রা শুরুর সময় থেকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া শুরু করেছিল বাংলাপক্ষ। সেই স্লোগান এখন তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা যায়। সেই স্লোগানের উপরে ভর করেই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিহার-উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সওয়াল করতেও দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু আসানসোলের উপনির্বাচনে বিহারের শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করল বাংলাপক্ষ।

বলিউডের এই প্রাক্তন বিশিষ্ট অভিনেতা দীর্ঘ দিন ছিলেন বিজেপির সঙ্গে। ২০১৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে ওই বছরে কংগ্রেসের টিকিটে পাটনা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জয় অধরা থেকে গিয়েছিল। তারপরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই ব্যক্তিকেই আসানসোল থেকে প্রার্থী করলেন মমতা।

রবিবার দুপুরের দিকে টুইটারে তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করা হচ্ছে যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অভিনেতা শ্রী শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোল থেকে লোকসভা উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী হবেন।’ তিনি আরও লেখেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জ থেকে বিধানসভার উপ-নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী হবেন।’

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে অনেক খনি এবং শিল্প রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় প্রচুর সংখ্যক হিন্দিভাষী মানুষের বাস। যাদের শিকর রয়েছে বিহারে। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেই কারণেই জনপ্রিয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা প্রার্থী করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাপক্ষের নেতারা। কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে। অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, “বিহারের আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী “বিহারী বাবু” নামে খ্যাত হিন্দি বইয়ের অভিনেতা শাত্রুঘান সিনহা। বিজেপি প্রার্থী জীতেন তিওয়ারি। হায়, বাঙালি, হায়। বিহার নিজের ছেলেদের চায়।” কৌশিক মাইতি লিখেছেন, “গুটখারা তৃণমূলকে এত ভালোবাসে, শত্রুঘ্ন সিনহাকে বিহার থেকে জিতিয়ে আনতে পারতো তো ২০২৪ সালে। বাঙালিকে বাঁশ দিয়ে “বিহারী বাবু” ভালোই ঢোকানো হচ্ছে। বাংলা বিহারের ছেলেকে চায়। আমার মাটি বিহার হবেই!”