Taliban 2.0: জঙ্গি তালিবান সরকার ও ভারতীয় কূটনীতিকদের প্রথম বৈঠক

আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন, কারণ ভারত সরকার প্রথমবার তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করল। সংবাদসংস্থা এএফপি ও আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যমের খবর, কাবুলে হয়েছে বৈঠক।…

আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন, কারণ ভারত সরকার প্রথমবার তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করল। সংবাদসংস্থা এএফপি ও আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যমের খবর, কাবুলে হয়েছে বৈঠক। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দ্বিতীয়বার তালিবান জঙ্গিরা (Taliban 2.0) কব্জা করার পর এই প্রথম নয়াদিল্লির তরফে গেল কূটনৈতিক মিশন।

বৃহস্পতিবারের ভারত ও তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বিবিসির খবর, এই বৈঠকে আফগানিস্তানকে মানবিক সাহায্য দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তালিবান জঙ্গি সরকারের বিদেশমন্ত্রক এই বৈঠকের ছবি প্রকাশ করেছে। বিবিসি জানাচ্ছে, গত বছর ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ সরে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। ওয়াশিংটন হাত তুলে নিতেই কাবুলে ঢুকে দ্বিতীয় দফায় দেশটির শাসন ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তবে তাদের সরকারকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃতি দেয়নি।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের খবর, তালিবান শাসনে ফের আফগানিস্তান চলে যেতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবধরণের আন্তর্জাতিক সাহায্য ও আর্থিক লেনদেন বন্ধ করেছে। এর ফলে প্রবল সমস্যার মুখে তালিবান সরকার। তাদের তরফে বারবার কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়, এই তালিবান সরকার পূর্ববর্তী তালিবান জমানার মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে তাতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের পথ খেলেনি।

দেশটির চরম আর্থিক ও খাদ্য সংকট দেখে রেডক্রশ মারফত ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ করেছে ভারত। তবে নয়াদিল্লি কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক করেনি। আগস্ট মাসে তালিবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো কাবুল সফরে গেলেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

সংবাদ সংস্থা এপি জানাচ্ছে, তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতের কোনও কূটনীতিক সম্পর্ক না থাকলেও নয়াদিল্লির তরফে এর আগে তালিবান প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল কাতারের রাজধানী দোহাতে। এরপর বৃহস্পতিবার কাবুলে হলো সরাসরি দুপক্ষের বৈঠক।

নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রক মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, মূলত সাহায্য বিতরণের তদারকি করার জন্য ভারতীয় প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল সফর করেছেন। 

তিনি জানান,তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে  রাষ্ট্রসংঘকেই অনুসরণ করবে ভারত।