GST collection: জিএসটি আদায়ে সর্বকালীন রেকর্ড: অর্থমন্ত্রক

করোনাজনিত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ক্রমশই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। জিএসটি আদায়ের (GST collection) নিরিখে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এটা বলা যেতেই পারে। কারণ এপ্রিল মাসে এবার…

GST collection

করোনাজনিত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ক্রমশই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। জিএসটি আদায়ের (GST collection) নিরিখে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এটা বলা যেতেই পারে। কারণ এপ্রিল মাসে এবার রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায় হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে জিএসটি আদায়ের সমস্ত পুরনো রেকর্ড।

অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ ১.৬৮ লাখ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। দেশজুড়ে জিএসটি চালু হওয়ার পর এই প্রথম কোনও এক মাসে ১.৫০ লাখ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি আদায় হলো।

   

রবিবার অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক রিপোর্টে এই জিএসটি আদায়ের কথা জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে জিএসটি আদায় হয়েছিল ১.৪২ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু এপ্রিলে প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা বাড়তি জিএসটি আদায় হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের এই রিপোর্ট সামনে আসার পর অর্থনীতিবিদরা সকলেই বলেছেন, দেশের অর্থব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক।

কেন্দ্রের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ মোট আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের এপ্রিলের তুলনায় ২০২২ সালের এপ্রিলে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যার মধ্যে সিজিএসটি বাবদ এসেছে ৩৩১৫৯ টাকা। এসজিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে ৪১৭৯৩ কোটি টাকা। আইজিএসটি আদায় হয়েছে ৮১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য থেকে আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা এবং সেস হিসেবে আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা।

২০২১ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বলা যায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আমদানি শুল্ক থেকে আয় ৩০ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন লেনদেন থেকে আয় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। জিএসটি চালু করার পর থেকে প্রতিবছরই সরকার জিএসটি বাবদ ভাল রকম আয় করেছে। কিন্তু করোনাজনিত কারণে জিএসটি আদায় বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২১ সালের জুন মাসে জিএসটি বাবদ মাত্র ৯২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকেই জিএসটি আদায় বাড়তে শুরু করে।

জিএসটি বাবদ সরকারের আয় বাড়লেও বেশ কয়েকটি রাজ্য কিছু পণ্যের উপর জিএসটির হার কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে অনুরোধ জানিয়েছে। আগামী জুন মাসে জিএসটি পরিষদের বৈঠক বসবে সেখানেই রাজ্যগুলির দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অনেকটাই বেড়েছে। ফলে দেশের বাজারে লাগামছাড়াভাবে বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। তাই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পেট্রোল, ডিজেলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার দাবি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।