অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সংসদে (Abhishek Banerjee)। ঠিক এই আবহেই রবিবার এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে করা সৌরভ গাঙ্গুলির মন্তব্য ঘিরে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তার এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গে নাম না করে সৌরভ কেও বিঁধেছেন তার বাক্য বানে।
প্রসঙ্গত অপারেশন সিঁদুরের পরে বিদেশে ভারতের প্রতিনিধি দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বক্তাদের মধ্যে ছিলেন অভিষেক। বিভিন্ন দেশে গিয়ে তিনি কড়া ভাষায় পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন। স্বভাবতই এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে তার ক্ষোভে যথেষ্ট যুক্তি সঙ্গত। অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ন্যায়বিচার, বিনোদন নয়।
যদি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো “ম্যাচ” হয়, তবে তা হোক নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি), এবং পিওজেকেই হোক আমাদের একমাত্র ট্রফি। এর চেয়ে কম কিছু আমাদের শহিদদের প্রতি অপমান এবং পহেলগাঁওয়ের শিকারদের প্রতি চরম অবিচার। তিনি আরও বলেন ক্রিকেট মাঠ কখনো শহিদদের রক্তের ঋণ মেটাতে পারে না।
যুদ্ধবিরতির নামে হাত মেলানো নয়, শহিদদের প্রতি ন্যায়বিচারই হোক আমাদের আসল ম্যাচ!” তিনি নাম না করে সৌরভের মন্তব্যকে ‘শহিদদের প্রতি অপমান’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কূটনৈতিক অবস্থানকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। অভিষেকের এই পোস্টে তিনি বলেন, “দশকের পর দশক পাকিস্তান সন্ত্রাস চালিয়েছে।
ক্রিকেট দিয়ে শহিদদের রক্ত ধোয়া যায় না।” ভারতীয় প্রতিনিধিরা দেশের বাইরে গিয়ে তাদের নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছিলেন। শশী থারুর এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টবাদী এবং আকর্ষণীয় বক্তা। অভিষেক রীতিমত তার বক্তৃতায় ঝড় তুলেছিলেন।
বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার আত্মমর্যাদা আর ইতিহাসকে ভুলে যাওয়ার নাম বিজেপি: মমতা
সেখান থেকে দাঁড়িয়ে এই ক্রিকেট ম্যাচ অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পহেলগাঁওয়ে যে নিরীহ মানুষরা প্রাণ দিয়েছেন তাদের জন্য খুব ই অসম্মানের ববলে মনে করেছেন অভিষেক। সর্বোপরি তিনি তার পোস্টার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যদি কোনো পুরস্কার ভারতের জন্য থেকে থাকে তবে তা পাক অধিকৃত কাশ্মীর।