২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে ফেরার পথে সিঙ্গুরে বিরাট দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো। সেই দুর্ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাম চোখের নীচের হাঁড় ভেঙে যায়। তারপর থেকে একাধিকবার অপারেশন হয়েছে ঠিকই তবে জটিলতা সম্পূর্ণভাবে কাটেন। শারীরিক জটিলতার জেরেই ফের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক।
দীর্ঘ সময় ৭ ঘন্টা অস্ত্রোপচার হয়েছে অভিষেকের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশন সফল হয়েছে অভিষেকের। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিষেকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এর আগেও অপারেশন সফল হয়েছিল তবে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। এইবার অপারেশন সঠিকভাবে না হলে এবার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর।
অপারেশনের পর একেবারে বিশ্রামে থাকার কথা ছিল অভিষেকের। চিকিৎসকরা নিষেধ করেছিলেন চোখে যাতে বেশি আলো না লাগে। কিন্তু সঠিকভাবে কিছু মানা হয়নি। তাই সমস্যা বাড়তে আবার অপারেশন করা হয়েছে। এবারের অপারেশনে সমস্যা কী মিটবে? সম্পূর্ণভাবে কি শারীরিক জটিলতা মুক্ত হবে অভিষেক? প্রশ্ন তুলেছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে অভিষেক। তিনি নিজেই সাংগঠনিক বিষয়টি সামলাচ্ছেন। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। তার ওপর দলের নেতা থেকে বিধায়কের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। এহেন পরিস্থিতিতে দল ও রাজ্যের শাসক দল হিসাবে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বারংবার অভিশপ্তের শারীরিক জটিলতা ও তার থেকে দ্রুত সুস্থতা মিলবে কিভাবে তাও চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমোর।
এমনিতেই দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতায় অভিষেক না থাকার কারণে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কিছুটা নড়বরে হয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। তাই বিজয়া সম্মীলনীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফের জনসংযোগে নেমেছে ঘাসফুল শিবির।