অতীত দিঘা-পুরী, ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন এই অফবিট জায়গাগুলি থেকে

ঘুরতে যাওয়া মানে এখন বাঙালির পছন্দ অফবিট ডেস্টিনেশন। গড়পড়তা দিঘা, পুরী এখন বাঙালিকে ততটা টানে না। সমুদ্র মানে এখন আর মন্দারমণি বা বকখালিতে আটকে নেই…

ঘুরতে যাওয়া মানে এখন বাঙালির পছন্দ অফবিট ডেস্টিনেশন। গড়পড়তা দিঘা, পুরী এখন বাঙালিকে ততটা টানে না। সমুদ্র মানে এখন আর মন্দারমণি বা বকখালিতে আটকে নেই কেউ। লিস্টে এসেছে মৌসুনি আইল্যান্ডের মতো জায়গা। আর পাহাড় বলতেই বাঙালির পছন্দ দার্জিলিং। কিন্তু এখন তার সঙ্গে জুড়েছে রিশপ, লামাহাটা, অহলদারা, সিটংয়ের মতো জায়গা। কিন্তু এগুলোও ধীরে ধীরে পুরনো হয়ে যাচ্ছে। তাই রইল এমন তিনটে জায়গার কথা যা এখনও অফবিট-ই রয়েছে।

পাথরঝোড়া: ডুয়ার্সের পাথরঝোড়া এখন অনেক ভ্রমণপিপাসুর কাছে প্রিয় জায়গা। এখানে কিছু হোটেল রয়েছে যার ঘরে বসেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তার উপর রয়েছে বনের পাখির কলতান। ডুয়ার্সের নয়নাভিরাম রূপেরও সাক্ষী থাকতে পারবেন পাথরঝোড়ায়। এখান থেকে যেতে পারেন ছোট ও বড় মানজিংও।

বেলপাহাড়ি: ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি অনেক পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। কারণ এখানে একসঙ্গে মিলবে পাহাড়, ঝর্ণা আর জঙ্গল। এখানকার বনবাংলো আপনাকে বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাসের কথা মনে করাবে। যত দিন যাচ্ছে এলাকায় আরও পর্যটকদের জন্য সুবিধা বাড়ছে। বাড়ছে হোটেলের সংখ্যাও। কিন্তু তাতে জায়গার সৌন্দর্য হ্রাস হয়নি।

দুয়ারসিনি: পুরুলিয়া মানেই অযোধ্যা, বড়ন্তি বা গড়পঞ্চকোট। কিন্তু একটু অন্য রকম পুরুলিয়া চাইলে যেতে পারেন দুয়ারসিনি। সেগুন, মহুয়ার রাজত্ব আপনাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবে। এখান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফরেস্ট বাংলোও রয়েছে। চাইলে সেখানে কয়েকদিন কাটিয়ে আসতে পারেন।