ঝটিকা সফরে এবার চলে যান Jhargram রাজবাড়ি

কখনও কখনও অবসর সময় ইতিহাস (Jhargram) বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এমন কিছু বিষয় চোখের সামনে এসে ধরা দেয়, যাকে এড়িয়ে পরের পৃষ্ঠায় চোখ রাখা প্রায়…

Jhargram

কখনও কখনও অবসর সময় ইতিহাস (Jhargram) বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এমন কিছু বিষয় চোখের সামনে এসে ধরা দেয়, যাকে এড়িয়ে পরের পৃষ্ঠায় চোখ রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে।

তার মধ্যে অন্যতম হল রাজা মহারাজাদের কার্যকলাপ। সেই সমস্ত মহারাজাদের বিভিন্ন কাহিনি পড়তে পড়তে সময় যেন হঠাৎ করে থমকে যায় আর মন চলে যায় কোনও এক ঐতিহাসিক যুগে। শতাব্দী প্রাচীন বিভিন্ন অজানা তথ্য, পুথি, লিপি থেকে তখনকার রাজবাড়ির অন্দরমহল, বাহিরমহল, নাচঘর, শয়ন কক্ষ সবকিছুই যেন চোখের সামনে এসে যখন ধরা দেয়, ঠিক তখনই মনে হয় এই সমস্ত রাজবাড়ি ঘোরার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারলে দুর্দান্ত হয়।

১৯২২ সালে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িটির নির্মাণ পর্ব শুরু হয় এবং যা শেষ হয় ১৯৩১ সালে। প্রায় ৭০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত ইটালিয়ান ও ইসলামিক স্থাপত্য শৈলী দ্বারা নির্মিত এই রাজবাড়িটি পর্যটকদের কাছে একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান।

রাজবাড়ী পরিদর্শন-এর আদর্শ সময়:-

আপনি বছরের যে কোনও সময় এই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে ঘুরতে আসতে পারেন। এই রাজবাড়িটি পর্যটকদের জন্য সব সময় খোলা থাকে। তবে শীতকালে গেলে এই রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রকম ফুল এবং প্রাকৃতিক শোভা দেখতে পাওয়া যায়।

থাকবার জায়গা:-
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে এসে আপনি অনায়াসে একটি বা দুইটি দিন কাটাতে পারবেন, কারণ এখানে থাকবার জন্য যথেষ্ট সুবন্দোবস্ত রয়েছে। একটু স্বল্প খরচে থাকতে চাইলে রাজবাড়ির আউট হাউসে থাকতে পারেন। আর যদি আপনার সাধ্যের মধ্যে হয়; তবে আপনি এই রাজবাড়ির অন্দরমহলে থেকে এখানকার ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে পারেন।

পথনির্দেশ:-

• হাওড়া থেকে আপনি ঝাড়গ্রামে পৌঁছানোর জন্য এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়ে যাবেন। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছোতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। আর ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে রাজবাড়ির দূরত্ব ৩ কিলোমিটার।

• এছাড়াও নিজস্ব গাড়িতে কলকাতা থেকে ৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রামে পৌঁছনো যায়।

তাহলে দেরি না করে এই বছর আপনার ঘোরার তালিকায় ঝটপট যোগ করে ফেলুন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি নাম। আর সেখানে গিয়ে রাজবাড়িতে থাকার এক অদ্ভুত অনুভূতি সাক্ষী করে তুলুন নিজেকে।