এআই, বা আর্টিফিশিয়াল (ChatGPT) ইন্টেলিজেন্স, আজকাল আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এর ব্যবহার আমরা প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছি, শুধু প্রযুক্তি বা ব্যবসা ক্ষেত্রেই নয়, সৃজনশীলতার (ChatGPT) জগতেও। সিনেমা, মিউজিক, সাহিত্য, এমনকি চিত্রনাট্য লেখা—সব জায়গাতেই এআই ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে।
সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা আবারও এই বিষয়টিকে আলোচনায় এনে দিল। পরিচালক শেখর কাপুরের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে যে, তাঁর বাড়ির রাঁধুনি চ্যাটGPT(ChatGPT) ব্যবহার করে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া ২’ ছবির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন!
এটি ছিল একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর দাবি, যা সম্প্রতি মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অডিও (ChatGPT) ভিজ্যুয়াল এন্টারটেনমেন্ট সামিট’-এ উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনে টিভি৯ নেটওয়ার্কের (ChatGPT) এমডি ও সিইও বরুণ দাসের সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় অংশ নেন শেখর কাপুর। আলাপচারিতায় উঠে আসে এআই ও তার ভবিষ্যতের কথা। এআই কি আমাদের সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দেবে? এই প্রশ্নটি বরুণ দাস করেছিলেন, এবং এর উত্তরে শেখর কাপুর একটি অভূতপূর্ব উদাহরণ দেন।
তিনি বলেন, “আমার বাড়ির কুক মিস্টার ইন্ডিয়া ২ ছবির স্ক্রিপ্ট লিখেছে চ্যাটGPT (ChatGPT) ব্যবহার করে। যদি চ্যাটGPT না থাকত, তাহলে আমি জানতেই পারতাম না যে আমার রাঁধুনি স্ক্রিপ্ট লিখতে পারে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, তাই সে চেষ্টা করেছে।” এটি ছিল একটি অদ্ভুত ও চমকপ্রদ প্রকাশ, যা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। শেখর কাপুর এও বলেন, “এআই কখনোই ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন হবে না। এআই শুধু কাজকে দ্রুত করছে, তবে মানব মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও তার নিজস্বতা হারাতে পারে না।”
এআই এবং সৃজনশীলতা নিয়ে এই আলোচনা আসলে অনেক বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আজকাল আমরা যখন দেখি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সিনেমার স্ক্রিপ্ট (ChatGPT) লেখা হচ্ছে, গান রচনা হচ্ছে বা চিত্রকলা তৈরি হচ্ছে, তখন এই প্রশ্নটি উঠতে বাধ্য—এটা কি সৃজনশীলতার নতুন সীমা তৈরি করছে, নাকি এআই আমাদের সৃজনশীলতা কেড়ে নিচ্ছে?
শেখর কাপুরের মন্তব্যের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট (ChatGPT) যে, এআই শুধু একটি টুল বা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে, যা আমাদের কাজকে আরও সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। তবে, সৃজনশীলতার মূল ধারণা, মানব মস্তিষ্কের অদ্ভুত ক্ষমতা, তা কখনই হারাবে না। এআই শুধুমাত্র সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারে, কিন্তু মানব সৃজনশীলতা তার নিজস্ব শক্তি ও স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখতে সক্ষম।
তবে, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এআই কি সৃজনশীলতার (ChatGPT) দুনিয়ায় নতুন বিপ্লব আনছে? আজকাল অনেক লেখক, চিত্রনাট্যকার এবং সঙ্গীতজ্ঞেরা চ্যাটGPT, ড্যাল-ই, এবং অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন তাদের কাজের অংশ হিসেবে। এর ফলে, অনেক নতুন ধারণা, গল্প, গান, চিত্রকলার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এতে কি মানুষের সৃজনশীলতা কমছে, নাকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে? এটি একটি জটিল প্রশ্ন, যা সময়ের সাথে আরও স্পষ্ট হবে।
এআই-এর সাহায্যে দ্রুত কাজ করা, যেমন সিনেমার চিত্রনাট্য (ChatGPT) লেখা বা গান তৈরি করা, আমাদের সময় এবং শ্রম সাশ্রয়ী করতে পারে, কিন্তু এর দ্বারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনোই একটি প্রকৃত সৃজনশীল মানুষ হতে পারবে না। এটি শুধুমাত্র একটি টুল হিসেবে কাজ করবে, যা আমাদের সৃজনশীলতাকে আরও উন্নত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
এছাড়া, শেখর কাপুর আরও বলেছেন, “চ্যাটGPT এর সাহায্যে কেউ কি একদিন একটি পুরো সিনেমা তৈরি করতে পারে? হয়তো পারে, তবে সেই সিনেমার অনুভূতি, অনুভূতির গভীরতা, মানুষের মনের টান—এগুলো কখনোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে পারবে না।”
এআই এবং সৃজনশীলতা সম্পর্কিত আলোচনার মধ্যে শেখর কাপুরের এই বক্তব্য একদিকে যেমন আমাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়, তেমনি সৃজনশীলতার (ChatGPT) মূল শক্তি সম্পর্কেও একটি সজাগতা সৃষ্টি করে। আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এআই যতই উন্নত হোক না কেন, তার কোনো জাদুতে মানব সৃজনশীলতার স্থান কখনই হারাতে পারবে না। বরং, এটি আমাদের সৃজনশীল কাজকে আরও আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করতে পারে।
এখন, চ্যাটGPT (ChatGPT) এবং অন্যান্য এআই প্রযুক্তির (ChatGPT) সাহায্যে নতুন নতুন ধারণা এবং কাজের প্রণালীগুলি আমাদের সামনে আসছে। তবে, এর মাধ্যমে সৃজনশীলতার সংজ্ঞা কখনই পরিবর্তিত হবে না, কারণ মানুষের মস্তিষ্কের স্বতন্ত্রতা ও অনুভূতি তা কখনই প্রতিস্থাপন করতে পারবে না।