তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু-আরাবুল

শুক্রবার, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দলের দুই প্রভাবশালী নেতা আরাবুল ইসলাম এবং শান্তনু সেনকে।…

Santanu Sen - Arabul Islam Suspended from TMC

শুক্রবার, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দলের দুই প্রভাবশালী নেতা আরাবুল ইসলাম এবং শান্তনু সেনকে। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এক ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

শান্তনু সেনের সাসপেনশনের ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। কয়েকদিন আগে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সরাসরি লক্ষ্য করে মন্তব্য করেছিলেন শান্তনু। এরপর রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় তুলে ধরেন তিনি, যা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করেছিল। এর পরই তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, এবং শুক্রবার দল থেকে সাসপেন্ড করা হল।

   

এখন প্রশ্ন উঠছে, কি কারণ ছিল তাঁর সাসপেনশনের পেছনে? অনেকেই মনে করছেন, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শান্তনুর মন্তব্যই হয়তো তাঁর এই কঠোর শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যক্ষেত্র নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে এক ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কিছু সূত্র দাবি করছে, দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আরাবুল ইসলামও দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ ছিল, এবং অনেকেই মনে করছেন, তাঁর সাসপেনশনও দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

Advertisements

শান্তনু সেনের সাসপেনশন অনেকের কাছে চমকপ্রদ মনে হতে পারে, কারণ তিনি দলীয়ভাবে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তাঁর মন্তব্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তবে রাজনৈতিক মহলে একে দলের ভিতরে অবিশ্বাস এবং অস্থিরতার প্রতিফলন হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবে কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা এখন দেখার বিষয়। তবে, এটি স্পষ্ট যে, তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গতি পরিবর্তনের সুত্রপাত হতে চলেছে এবং দলের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও ধরনের আপস এখন আর করা হবে না।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News