শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই আজ নিমতায় খুন হওয়া ভবানীপুরের ব্যবসায়ীর বাড়ি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত ব্যাবসায়ীর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তারপর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা অপরাধী নয় অপরাধীর থেকে বড় আপরাধী। এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত। ওনার পরিজনদের শান্তনা দেওয়ার মতো ভাষা নেই আমার।
এরপর পুলিশ কমিশিনার বিনীত গোয়েল জানান, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী ভব্য লাখানিকে। ব্যবসায়িকে মিটিং আছে বলে ডাকা হয় । তার পর মত্ত অবস্থায় উইকেট দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বারংবার তাঁকে আঘাত করা হয়। গত সোমবার দুপুর একটা থেকে তিনটের মধ্যে এই খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
খুনের পর নিমতার একটি বাড়িতে জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহের চারপাশে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ীর রক্তমাখা জামাকাপড় নিমতার ধাপায় ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে জামাকাপড়গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ ইতিমধ্যেই অনির্বান গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করছে।
মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী নেহা লাখানির অভিযোগ করার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে । তিনি পুলিশকে জানান, গত সোমবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড এলাকা থেকে বেরোনোর পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। থানায় গিয়ে তিনি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নেমে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ অনির্বান গুপ্ত নামে ঐ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বাড়ি থেকে ভব্যের দেহ উদ্ধার করে।
পুলিস জানান, খুনের পর বস্তাবন্দি দেহ জলের ট্যাঙ্কের নীচে পুঁতে ফেলা হয়। রাতারাতি সেখানে আবার পাঁচিলও তুলে দেওয়া হয়। যে বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর দেহ মিলেছে, সেটি অনির্বাণ গুপ্ত নামে গ্রেফতার হওয়া ঐ যুবকের। তিনিও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশের জেরার মুখে সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুমন দাস নামে অন্য এক যুবকের নাম বলায় তাকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য বার করার চেষ্টা করছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।