বর্তমান বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি প্রশ্ন ঘুরছে—শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ (Dilip Ghosh) দেবেন কি দিলীপ ঘোষ? বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা দিলীপ ঘোষ বর্তমানে দলের সঙ্গেও কিছুটা দূরত্ব তৈরি করেছেন। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হচ্ছে, দিলীপ ঘোষ কি সত্যিই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাবেন? তার মন্তব্যে যে সে সম্ভাবনা উসকে উঠেছে, তা স্পষ্ট।(Dilip Ghosh)
দিলীপ ঘোষ, যিনি নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে (Dilip Ghosh) একাধিকবার দলীয় নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন, এবার দলের প্রতি নিজের অভিমান প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পার্টি ঠিক করবে, ভগবানের খাতায় সব লেখা আছে।” এই মন্তব্যে একদিকে যেমন তার দলের প্রতি ক্ষোভের ইঙ্গিত মিলছে, তেমনি অন্যদিকে তার ভবিষ্যৎ দলীয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে, এমনটিও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।(Dilip Ghosh)
বিশেষত, তিনি একাধিকবার উল্লেখ করেছেন যে, তাকে বিজেপি দলের উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত করেছে, এবং তার রাজনৈতিক উত্থানেও দলের অবদান রয়েছে। তবে, এখন তাকে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে না, এবং দল তার দিকে মনোযোগ না দেওয়ার ফলে তার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা অনিশ্চিত, সেটাও জল্পনার সৃষ্টি করছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে,” তার মধ্যে দলের প্রতি এক ধরনের হতাশা এবং আক্ষেপ প্রকাশ পায়।(Dilip Ghosh)
শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষ একেবারে সরাসরি বলেছেন, “আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।” এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, দল ও তার মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা সহজেই কাটানোর মতো নয়। তাঁর এই মন্তব্য শুধু তার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, সেই সঙ্গে এটা বুঝিয়েছে যে, দল তাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক মহলে আরেকটি প্রশ্ন উঠছে—দিলীপ ঘোষ কি সত্যিই(Dilip Ghosh) তৃণমূলে যোগ দেবেন? বিশেষত, তিনি যখন নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, তখন তৃণমূলে যোগের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তৃণমূলের পক্ষে, তাকে দলে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় লাভ হতে পারে, কারণ তার জনপ্রিয়তা এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।(Dilip Ghosh)
এছাড়া, দিলীপ ঘোষের একাধিক মন্তব্য তার অভিমানের চিত্র তুলে ধরে।(Dilip Ghosh) দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি তার মন্তব্যগুলো বোঝায়, তিনি একসময় দলকে অনেক কিছু দিয়েছেন, কিন্তু এখন সেই প্রতিদানটা পাচ্ছেন না। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও তার সম্পর্কের দূরত্ব বেড়েছে, বিশেষ করে মোদি ও অমিত শাহের সভাগুলিতে তার অনুপস্থিতি এরই প্রমাণ। এমনকি, নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের বরণের অনুষ্ঠানে তাকে ডাক না দেওয়াও দিলীপ ঘোষের মনোভাবের পরিবর্তন বুঝিয়ে দেয়।(Dilip Ghosh)
তবে, একদিকে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে যোগ নিয়ে কোনও(Dilip Ghosh) সরাসরি মন্তব্য করেননি, অন্যদিকে তিনি আবার বলেছেন, “আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।” এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি কোনো দলের প্রতি বাধ্য নন, বরং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দল ঠিক করবে, সেটাই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা সবার সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।(Dilip Ghosh)
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ যখন নিজের ভাবনা ব্যক্ত করছেন, তখন (Dilip Ghosh) তার জীবনের ব্যক্তিগত অভ্যেসগুলিও সামনে আসছে। ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় তিনি তৃণমূলে যোগ বিষয়ে কিছু খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে সেখানে গিয়েছি, এটা কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়।” তবে, তার বক্তব্যের মধ্যে যে রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে, তা নিশ্চয়ই লক্ষ্যণীয়।(Dilip Ghosh)
সবমিলিয়ে, দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক অবস্থান এবং দলের সঙ্গেও(Dilip Ghosh) সম্পর্কের টানাপোড়েন বাংলা রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায় শুরু করেছে। একদিকে তিনি বিজেপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, অন্যদিকে তিনি তৃণমূলে যোগের সম্ভাবনাও উসকে দিয়েছেন। এখন দেখার, ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক পথ কোন দিকে মোড় নেয় এবং রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী ধরনের পরিবর্তন আনে।(Dilip Ghosh)