মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরলেন তৃণমূল সাংসদ (Abhishek Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলকাতা পৌঁছন। এই সফরে তিনি ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে এশিয়ার পাঁচটি দেশ — জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া — ঘুরে(Abhishek Banerjee) আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন,(Abhishek Banerjee) বিশেষ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপের প্রসঙ্গে।
এই সফরে অভিষেক ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা। (Abhishek Banerjee) দলের নেতৃত্বে ছিলেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। অভিষেক জানান, আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে(Abhishek Banerjee) মদত দেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং এই বার্তা যথাযথভাবে পৌঁছানো গেছে। প্রতিনিধিদলের এই সফর ছিল ভারতের পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে একটি শক্ত বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।(Abhishek Banerjee)
তবে দেশে ফিরে এসেই অভিষেক জানিয়ে দেন(Abhishek Banerjee) , বুধবার বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন, যেখানে প্রতিনিধি(Abhishek Banerjee) দলের সদস্যদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। আমি সেই বৈঠকে থাকতে পারব না। আমি বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছি এবং আমার মতামত লিখিতভাবে জানাব।”(Abhishek Banerjee)
বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পেছনে(Abhishek Banerjee) অভিষেকের যুক্তি, তিনি বহুদিন দেশের বাইরে ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই কিছু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে এবং তাঁর নিজের এলাকাতেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। তিনি আরও জানান, এইসব কর্মসূচি সামাল দিতেই আগামী কয়েকদিন তিনি ব্যস্ত থাকবেন।(Abhishek Banerjee)
এই প্রতিনিধি দলের মনোনয়ন(Abhishek Banerjee) নিয়েও শুরুতে কিছু বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। শুরুতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়।(Abhishek Banerjee) কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কে প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন, তা নির্ধারণের অধিকার কেন্দ্রের নেই। পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ করেন, এবং এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত করে তৃণমূল।(Abhishek Banerjee)
অভিষেক নিজেও জানান, তিনি সফরের (Abhishek Banerjee) একদিন আগে জানতে পারেন যে তাঁকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। এত স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে এই সফরে যোগ দিলেও, অভিষেক বলেন, “প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়ে ভারতকে শক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।”(Abhishek Banerjee)
দেশে ফিরে অভিষেকের এই সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও(Abhishek Banerjee) আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির একাংশ যদিও এই সফরকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রচার’ বলেই ব্যাখ্যা করছে, তৃণমূল কংগ্রেস একে অভিষেকের আন্তর্জাতিক মঞ্চে দলের সক্রিয় ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই দেখছে।(Abhishek Banerjee)
সব মিলিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর শুধুই একটি কূটনৈতিক প্রচার নয়, বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও এক তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব হয়ে উঠেছে। যদিও বিদেশমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক অনুপস্থিত থাকছেন, তবে তিনি লিখিতভাবে তাঁর অভিজ্ঞতা ও মতামত মন্ত্রককে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।(Abhishek Banerjee)