চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনে ফের উত্তাল হয়ে উঠল বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) । বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভের চরমে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের(Bikash Bhavan) ধস্তাধস্তি হয়, যার ফলে শুরু হয় লাঠিচার্জ। গুরুতর আহত হন একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। কারও মাথা ফেটে (Bikash Bhavan) গিয়েছে, কারও বা পা ভেঙেছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মীরও মাথায় চোট লেগেছে বলে জানা গেছে।
বিকাশ ভবনে(Bikash Bhavan) ফের উত্তেজনা
সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিকাশ ভবনের(Bikash Bhavan) চত্বর। চাকরিহারাদের দাবিতে টানা বিক্ষোভ চলছিল। তাঁরা গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে শুরু হয় পুলিশি প্রতিরোধ(Bikash Bhavan) । ব্যারিকেডে উঠে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। বিকেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন(Bikash Bhavan) সন্ধ্যা নামতেই সরকারি কর্মীরা বের হতে চাইলে আন্দোলনকারীরা তাঁদের বাধা দেন। পরিস্থিতি(Bikash Bhavan) আয়ত্তে আনতে পুলিশ র্যাফ নামায় এবং শুরু হয় লাঠিচার্জ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই এলোপাথাড়ি (Bikash Bhavan) লাঠি চালায়। এতে বহু শিক্ষক শিক্ষাকর্মী আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় (Bikash Bhavan) তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে অনিকেত মাহাতো
এই ঘটনার খবর পেয়ে বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান (Bikash Bhavan) আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো ও তাঁর সঙ্গীরা। অনিকেত জানান, “পুলিশের লাঠির ঘায়ে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙেছে, কারও মাথা ফেটে গিয়েছে। এটা অমানবিক। সরকার যেন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।”
অনিকেত ও তাঁর সঙ্গীরা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার(Bikash Bhavan) ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় হাসপাতালে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, “আমরা কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী নই। আমরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছি আমাদের ভবিষ্যৎ ও অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু সরকার আমাদের পুলিশ দিয়ে পেটাচ্ছে।”
সরকারের ভূমিকা ও পুলিশের আচরণ
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ তুলেছেন, সরকার(Bikash Bhavan) ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের দাবিগুলি এড়িয়ে যাচ্ছে এবং পুলিশকে সামনে রেখে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের মতে, এর থেকে স্পষ্ট যে সরকার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ঢাকতে চায়। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না(Bikash Bhavan) তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে(Bikash Bhavan) আনতেই বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। তবে কোনও নিরীহ আন্দোলনকারীর ওপর আঘাত করার ইচ্ছা ছিল না। আহত পুলিশ সদস্যের(Bikash Bhavan) কথাও তুলে ধরেছে পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনার পর ফের একবার শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে (Bikash Bhavan) রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের একাংশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অন্যদিকে, সরকারের নিরবতা নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এখন দেখার বিষয়, আদালত বা মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ(Bikash Bhavan) করে কি না। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা তাঁদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন, এবং জানিয়েছেন, লাঠির ঘা তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। তাঁদের দাবি একটাই—“ন্যায়বিচার চাই, চাকরি চাই।”