Tag Archives: India Meteorological Department

সপ্তাহের প্রথম দিন কেমন যাবে বঙ্গের আবহাওয়া

কলকাতা: শরতের শেষভাগে বঙ্গের আকাশে শীতের ছোঁয়া লাগছে। অক্টোবরের শেষের দিকে সাইক্লোন মন্থার প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের ঝড় দেখা দিলেও, এখন সেই দিনগুলো পিছনে পড়ে গেছে। আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর, উত্তর বঙ্গে হালকা শীতল হাওয়া এবং দক্ষিণ বঙ্গে রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস (আইএমডি)-র আলিপুর অফিস।

বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, তবে তাপমাত্রা সামান্য নেমে এসেছে, যা সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা অনুভূতি জাগাবে। উত্তর বঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় কুয়াশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা যাতায়াতে সামান্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে। দক্ষিণে কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমানের মতো এলাকায় সূর্যের আলো উপভোগ করা যাবে, কিন্তু বিকেলের পর হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়া বইতে পারে।

গুজরাট সফরে ওড়িশার রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন

আলিপুরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবহাওয়া সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকবে, তারপর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।উত্তর বঙ্গের কথা বললে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাগুলোতে আজ সকাল থেকে হালকা কুয়াশা এবং শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যখন সর্বনিম্ন ১৪-১৬ ডিগ্রি।

পাহাড়ি এলাকায় সকালে কুয়াশা ঘন হতে পারে, যা দূরদর্শন কমিয়ে যাত্রীদের জন্য ঝুঁকি বাড়াবে। আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে কোনও সক্রিয় নিম্নচাপ নেই, তাই বৃষ্টির কোনও ভয় নেই। তবে, মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো সমতলভূমিতে হালকা হাওয়া (১০-১৫ কিমি/ঘণ্টা) বইবে, যা শীতের প্রথম স্পর্শ এনে দেবে।

স্থানীয় কৃষকরা এই শুষ্ক আবহাওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন, কারণ অক্টোবরের বন্যার পর ধানের ফসল শুকাতে সময় পাচ্ছে। দার্জিলিং-এর এক চা-বাগানের কর্মী রাহুল তামাং বলেন, “কুয়াশায় কাজ করা কঠিন, কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় ফসলের উদ্বেগ কম। তাপমাত্রা নামলে চায়ের পাতা ভালো হয়।” উত্তর বঙ্গে ভ্রমণকারীরা সতর্ক থাকুন—পাহাড়ি রাস্তায় কুয়াশা যানজট সৃষ্টি করতে পারে।অন্যদিকে, দক্ষিণ বঙ্গে আজ রৌদ্রময় এবং শুষ্ক দিন কাটবে।

কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২২-২৩ ডিগ্রি থাকবে, যা শহরবাসীদের জন্য আরামদায়ক। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় হালকা মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত নেই। বাতাসের গতি ৮-১২ কিমি/ঘণ্টা, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে।

আলিপুর অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শেষের বৃষ্টির পর এখন স্থিতিশীল আবহাওয়া, যা ১০-১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় স্কোয়ালি বাতাসের সম্ভাবনা নেই, তাই মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। পর্যটনও বাড়ছে—সুন্দরবনে বা ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে আজ ভালো দিন।

আইএমডির দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭-১৩ নভেম্বরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে বিচ্ছিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, কারণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ এবং আগামীকাল শুষ্ক থাকবে। তাপমাত্রা সামগ্রিকভাবে ২-৩ ডিগ্রি নেমেছে, যা শীতের আগমনের সংকেত। কলকাতায় আজ সকাল ৬টায় কুয়াশা ছিল, কিন্তু ৯টার পর রৌদ্র বেরিয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম দিনে বঙ্গের আবহাওয়ার হালচাল

পশ্চিমবঙ্গের আকাশে গত কয়েকদিন ধরে সাইক্লোন মন্থার কালো মেঘ ঘনিয়ে ছিল, কিন্তু আজ, ৩ নভেম্বর ২০২৫, সেই ঝড়ের ছায়া কেটে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-র সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলে এবং দক্ষিণবঙ্গের শহর-গ্রামে আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে আবহাওয়া স্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

সাইক্লোনের অবশিষ্টাংশ থেকে উদ্ভূত লো-প্রেশার এলাকা এখন স্থানীয়করণ হয়ে যাচ্ছে, যা বৃষ্টির তীব্রতা কমিয়ে দিয়েছে। কলকাতা-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ উত্তরবঙ্গে হালকা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে, যখন দক্ষিণে আংশিক মেঘলা আকাশের মধ্যে শুষ্কতা বেশি।

এই পরিবর্তন স্থানীয় কৃষক, যাত্রী এবং শহুরে জীবনকে কিছুটা স্বস্তি দেবে, কারণ গত ৭২ ঘণ্টার অবিরাম বর্ষণে বন্যা, ভূমিধস এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে।উত্তরবঙ্গের কথা আগে বলি। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এই অঞ্চলগুলোতে সাইক্লোন মনথার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল। আইএমডি-র ১ নভেম্বরের বুলেটিনে উল্লেখ আছে যে, এখনও লো-প্রেশারের অবশেষ থেকে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে এক-দুই জায়গায়।

তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা স্বাভাবিকের কাছাকাছি। আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৮০ শতাংশ, এবং বাতাসের গতি ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি এখনও কিছুটা রয়েছে, বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ, কারণ মাটি এখনও ভিজে।

আইএমডি সতর্ক করেছে যে, টিস্টা, তোর্শা, রাইডাক এবং জলধাকা নদীগুলোতে জলস্তর কিছুটা বাড়তে পারে, তাই কৃষকরা সতর্ক থাকুন। গত সপ্তাহে এই অঞ্চলে ৭-২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ফসলের ক্ষতি করেছে, কিন্তু আজ থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার সূচনা। সিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ির মতো শহরগুলোতে সকাল থেকে মেঘলা আকাশ থাকলেও, দুপুরের পর বৃষ্টি কমে যাবে।

দক্ষিণবঙ্গের চিত্রও অনুরূপ, কিন্তু আরও স্বস্তিকর। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া—এই এলাকাগুলোতে আজ হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সম্ভাবনা এক-দুই জায়গায়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। আইএমডি-র সাত দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, সাইক্লোনের প্রভাব ৪ নভেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে কেটে যাবে, এবং আজ থেকেই শুষ্কতা শুরু হবে।

কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, আর্দ্রতা ৭৫-৮২ শতাংশ। বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৭-৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে, যা কোনো ঝড়ের আশঙ্কা নেই। গত কয়েকদিনে কলকাতায় স্কোয়ালি বাতাস ৩৫-৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইছে, কিন্তু আজ তা শান্ত হবে।

বর্ধমান বা মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলোতে হালকা বৃষ্টির পর সূর্যের আভাস দেখা যাবে, যা শহুরে জীবনকে স্বাভাবিক করবে। আইএমডি জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বন্যার ঝুঁকি এখন নেই, কিন্তু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকতে পারে।

দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, কমবে বৃষ্টি-ঝড়ের আশঙ্কা

চেন্নাই, ২২ অক্টোবর: বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ দুর্বল হতে চলেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) বুধবার জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই আবহাওয়া ব্যবস্থা শক্তি হারাবে।

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলছিল। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূল এলাকায় সমুদ্র ছিল অশান্ত। জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তবে স্বস্তির খবর হলো, সিস্টেমটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে বড় কোনো বিপদের সম্ভাবনা নেই।

মেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, সিস্টেমটি প্রথমে একটি লো প্রেসার হিসেবে তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে। ধীরে ধীরে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং উপকূলের দিকে এগোতে থাকে। এর জেরে চেন্নাই ও আশপাশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে এ ধরনের নিম্নচাপ অক্টোবর–নভেম্বর মাসে স্বাভাবিক। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তৈরি এই আবহাওয়া ব্যবস্থা সাধারণত এক-দু’দিনের মধ্যেই শক্তি হারায়। তবে এই ধরনের সিস্টেম থেকে কিছুটা বৃষ্টিপাত হলেও, তা চাষের জন্য উপকারী হতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত বড় ধরনের বিপদের সম্ভাবনা না থাকলেও সতর্কতা জারি থাকবে। মৎস্যজীবীদের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

IMD-র তরফে বলা হয়েছে, “একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থান করছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ক্রমশ দুর্বল হবে।”

সব মিলিয়ে, দক্ষিণ ভারতের উপকূলে স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু কিছু জায়গায় জল জমা ও যান চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

Cyclone Michaung: ঘূর্ণি মিগজাউমের হামলার আগেই উপকূল তছনছ, মৃত্যু শুরু

শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম(Cyclone Michaung)তান্ডব। প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে চেন্নাইয়ের কানাথুরে একটি নবনির্মিত দেওয়াল ভেঙে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ আহত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে নিহতরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতে সরাসরি আছড়ে পড়বে। রবিবার রাত থেকেই চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে যে চেন্নাই এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হবে। প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে চেন্নাই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং অনেক ফ্লাইটের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ পিরকাঙ্করানাই এবং পেরুঙ্গালাথুর কাছে তাম্বারাম এলাকা থেকে প্রায় ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে।

বিপদসীমার উপর দিয়ে জল প্রবাহিত হওয়ায় বেসিন ব্রিজ ও ব্যাসারপদীর মধ্যে ১৪ নং ব্রিজটি নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চেন্নাই থেকে শুরু করে যে ৬ টি ট্রেনকে সেতু পার হতে হয় – মাইসোর শতাব্দী এক্সপ্রেস, কোয়েম্বাটোর কোভাই এক্সপ্রেস, কোয়েম্বাটোর শতাব্দী এক্সপ্রেস, কেএসআর বেঙ্গালুরু এসি ডাবল ডেকার এক্সপ্রেস, কেএসআর বেঙ্গালুরু বৃন্দাবন এক্সপ্রেস, তিরুপতি সপ্তগিরি এক্সপ্রেস, তা সোমবার বাতিল করা হয়েছে। এদিকে জল জমার কারণে ১৪ টি সাবওয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

চেন্নাই শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আইএমডি অনুসারে, গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের সীমানায় শহরের বেশিরভাগ অংশে 100 মিমি-র বেশি বৃষ্টি হয়েছে — ভালসারভাক্কাম (154.2 মিমি), নুঙ্গামবাক্কাম (101.7 মিমি), শোলিঙ্গানাল্লুর (125.7 মিমি), কোদামবাক্কাম (123.3 মিমি), মীনামবাক্কাম (123.3 মিমি) 108 মিমি), ইত্যাদি।

পার্শ্ববর্তী জেলা কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপাট্টু এবং তিরুভাল্লুরেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, দক্ষিণ রেলওয়ে ভারী বৃষ্টি ও জল জমার কারণে সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত চেন্নাই শহরতলির সমস্ত বিভাগে উপনগর ট্রেন পরিষেবাগুলি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। দক্ষিণ রেলওয়ের মতে, এই বিভাগে শুধুমাত্র বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।

গতি কমলেও হিংস্র রূপে পাকিস্তানের দিকে ধেয়ে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়

‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy) কতটা বিপর্যয় আনতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে? সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সাইক্লোন বিপর্যয়ের গতি কিছুটা কমেছে। তবে চিন্তার ভাঁজ কমছেনা একটুও কারণ ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’ এই মুহুর্তে ‘অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ (very severe cyclonic storm) বলা হচ্ছে।

ক্লাইমেট চেঞ্জ মিনিস্টার শেরি রেহমান টুইটারে জানিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের গতি কমলেও তবুও তা যথেষ্ট শক্তিশালী।“ তিনি আরও জানান যে গভীর রাতের আগে ঘুর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা নেই।

দুপুর ৩ টে নাগাদ পাকিস্তান মিটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (Pakistan Meteorological Department) বা পিএমডি জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পাকিস্তানের কেটি বন্দর এবং ভারতের গুজরাট মাঝামাঝি স্থলে আছড়ে পড়বে। পিএমডি-র তরফে আরও জানানো হয় যে গত ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তরপূর্বের দিকে সরে গিয়েছে এবং এই মুহূর্তে ( দুপুর ৩ টে) ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান করাচি থেকে ২২০ কিমি দূরে, থাট্টা থেকে ২১০ কিমি এবং কেটি বন্দর থেকে ১৩০ কিমি দূরে।

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে সাইক্লোনের সঙ্গে বইবে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। দমকা হাওয়া বয়বে ঘণ্টায় ১৪০ কিমি। ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’-এর প্রভাবে হাওয়া-ধুলো বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টি। ৫ থেকে ১৭ জুন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সিন্ধের থাট্টা, সুজাওয়াল, বাদিন, থার্পার্কার, মীরপূর্খাস এবং উমেরকোট।

সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে যে কেটি বন্দর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ল্যান্ডফলের সময় ৩-৪ মিটারের ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ৮০,০০ মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এয়ার প্রেশার ৩০ নোটিক্যাল নটস পেরিয়ে গেলেই পাকিস্তানের হায়দেরাবাদের করাচিতে সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে ভারতে শতর্কতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১ লক্ষের ওপর মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মিটিওরোলোজিকাল ডিপার্টমেন্ট (India Meteorological Department) এর তরফে জানানো হয়েছে ভারতে সন্ধ্যা ৮ টা থেকে ৮;৩০ মিনিটে আছড়ে পড়তে পারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’।

Heatwave: ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙল ফেব্রুয়ারির গরম, আগামী তিন মাসের পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

Weather Update: ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ১২২ বছরের মধ্যে এই বছরের ফেব্রুয়ারি ছিল সবচেয়ে উষ্ণ (Heatwave)। এই সময়ে দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এর আগে, ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যখন গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৩ মাস গরমে মানুষের সমস্যা হতে পারে। ১লা মার্চ থেকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সারা দেশের জন্য তাপপ্রবাহের জন্য রঙ-কোডেড সতর্কতাও জারি করবে।

দেশের অনেক এলাকায় তাপমাত্রা আগের বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব এবং মধ্য ভারতের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের তাপমাত্রা মার্চ থেকে গড় তুলনায় বাড়বে। আগামী তিন মাসে ভারতে তাপের কারণে জনজীবন ব্যাহত হবে। তাপপ্রবাহের প্রভাব দেশের অনেক জায়গায় দেখা যাবে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত, মধ্য ভারতের কিছু অংশ, পশ্চিম ভারত এবং উত্তর ভারতে।

মার্চ থেকেই গ্রীষ্ম শুরু হবে, সাবধান
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার মার্চ থেকেই তাপের প্রভাব দেখা যাবে। কয়েক বছর আগেও মার্চে হোলির পর পর্যন্ত ঠান্ডার প্রভাব দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো। দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান, ওডিশা, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং কেরালার বেশিরভাগ অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের আবহাওয়া দফতরের মতে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা দিল্লি, ইউপি এবং রাজস্থানের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।

রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে
আগামী ৩ মাসে দিনের বেলায় প্রচণ্ড তাপ থাকবে, তাই রাতের তাপমাত্রাও গড়ের উপরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরালার কিছু এলাকায় প্রচণ্ড গরমের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে তাপপ্রবাহ ও রাতের তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে।