Tag Archives: bus fire

মোটরবাইকের সঙ্গে ধাক্কা! দাউ দাউ করে জ্বলল বাস, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১২ যাত্রী

হায়দরাবাদ: অন্ধ্রপ্রদেশের কর্ণূল জেলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ প্রাণ গেল ১২ জন যাত্রীর। চিন্নাটেকুর গ্রামের কাছে একটি প্রাইভেট ট্রাভেলস বাসের সঙ্গে একটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো বাসটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বহু দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর প্রায় সাড়ে তিনটের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাস ও মোটরবাইকের সংঘর্ষের পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে বাসের সামনের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, এরপর দ্রুত তা গোটা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কের মধ্যে অন্তত ১২ জন যাত্রী জরুরি নির্গমন পথ ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাঁদের হালকা আঘাত নিয়ে কর্ণূল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল বলে জানা গেছে, যা হয়তো সংঘর্ষের অন্যতম কারণ। আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে বাসটি অচেনা হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ Kurnool Bus Fire Accident

দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের কর্ণূলে দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবার ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” প্রধানমন্ত্রী মৃতদের পরিজনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে দু’লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোকবার্তায় বলেছেন, “কর্ণূলে বাসে আগুনে এতগুলি প্রাণহানির ঘটনা গভীরভাবে বেদনাদায়ক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, “কর্ণূল জেলার চিন্নাটেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাসদুর্ঘটনার খবর শুনে আমি হতবাক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানাচ্ছি। আহতদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।”

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে প্রশাসন, তদন্তে ফরেনসিক দল

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী সত্যকুমার যাদব ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, নিহতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। তিনি বলেন, “বাসের ভিতরেই দেহগুলি রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঘটনাস্থলেই ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কর্ণূল সরকারি হাসপাতালের সুপারকে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

মন্ত্রী আরও জানান, ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন যাত্রী বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হলেও তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।

কর্ণূলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে তৎপরভাবে কাজ চালাচ্ছে।

বিদ্যাসাগর সেতুতে চলন্ত বাসে আগুন, মিনিটের মধ্যে পুড়ে ছাই নতুন বাস

বুধবার সকালেই আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার রাস্তায়। সাতটা নাগাদ বিদ্যাসাগর সেতুতে যাত্রীবোঝাই একটি বেসরকারি বাসে আচমকা আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাসে। দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়, ফলে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি।

অ্যাপ্রোচ রোডে উঠতেই বিপত্তি

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাসটি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে উঠতেই সামনের দিক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন লেগে যায় ইঞ্জিনের অংশে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গাড়িতে। যাত্রী, চালক ও কন্ডাক্টরকে দ্রুত নামিয়ে আনেন স্থানীয় মানুষ ও ট্র্যাফিক পুলিশ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিশ ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রায় ৩৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুরো বাসটাই ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সূত্রের খবর, মাত্র পাঁচ দিন আগেই বাসটি কেনা হয়েছিল।

চলাচল প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ Vidyasagar Setu Bus Fire

এই ঘটনায় বিদ্যাসাগর সেতুর কলকাতামুখী যান চলাচল প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে। ফলে সকাল সকাল অফিসযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়েন শতাধিক নিত্যযাত্রী।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের জয়সলমিরে চলন্ত ভলভো বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জন যাত্রীর। কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতুর এই ঘটনাও ফের প্রশ্ন তুলল চলন্ত বাসের অগ্নি–নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

বাসে দাউদাউ করে জ্বলল আগুন, পুড়ে মৃত্যু ২০ জনের

জয়সলমের: রাজস্থানের মরুপ্রান্তে মঙ্গলবার বিকেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জয়সলমের থেকে যোধপুরগামী একটি বেসরকারি বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন যাত্রী জীবন্ত পুড়ে মারা গিয়েছেন, গুরুতর জখম আরও ১৬ জন। বিকেল তিনটার কিছু আগে জয়সলমের-যোধপুর হাইওয়েতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সূত্রের খবর, ‘কে কে ট্রাভেলস’-এর ওই বাসটি মাত্র পাঁচ দিন আগেই এই রুটে চালু হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এটি একটি সাধারণ এসি বাস হলেও কিছুদিন আগে সেটিকে স্লিপার কোচে রূপান্তর করা হয়। ওই পরিবর্তিত গঠনই পরিণত হয় মৃত্যুফাঁদে।

আগুন লাগার মুহূর্তে পালানোর পথ বন্ধ

দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাসের পেছনের অংশ থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। চালক সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামালেও মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাস জ্বলে ওঠে। যাত্রীদের মধ্যে চিৎকার, আতঙ্ক আর হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ কাঠামো ফাইবারের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জানালাগুলি ছিল শক্ত কাঁচের, যা ভাঙা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আরও বিপত্তি ঘটে যখন বৈদ্যুতিক সংযোগে শর্ট সার্কিট হয়ে সামনের দরজার লক আটকে যায়—ফলে পালানোর একমাত্র পথও বন্ধ হয়ে যায়।

কেউ কেউ মরিয়া হয়ে কাঁচ ভেঙে বেরোবার চেষ্টা করেন, কিন্তু অধিকাংশই ভেতরে আটকে পড়েন। বাসটি তখন যাত্রীতে পরিপূর্ণ, এমনকি করিডরেও অনেকে বসেছিলেন।

সেনাবাহিনীর তৎপরতা ও স্থানীয় সাহায্য Jaisalmer Jodhpur Bus Fire Tragedy

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি সেনা ঘাঁটি থাকায় দ্রুত সাহায্য পৌঁছে যায়। সেনার একটি দল এসে জেসিবি মেশিন দিয়ে বাসের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

পাশের একটি মদের দোকানের ঠিকাদারও সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি আর্মি এলাকার ভেতর থেকে একটি জলবাহী ট্যাঙ্কার এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

স্থানীয়দের ক্ষোভ, দমকল পৌঁছতে সময় লেগেছে অন্তত ৪৫ মিনিট। ততক্ষণে আগুনে বাস প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই।

আহতদের অবস্থা গুরুতর, প্রধানমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ

প্রথমে আহতদের জয়সলমেরের জওহর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি সি.পি. রাধাকৃষ্ণনও ঘটনাটিতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শন ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

সরকারের পক্ষ থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাসে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মৃত্যু ৮ পুণ্যার্থীর, আহত অন্ততপক্ষে ২৪ জন

ঘুমের মধ্যেই ঝলসে গেল একের পর এক প্রাণ। তীর্থযাত্রা করে আর ফেরা হল না অনেকের। হরিয়ানার (Haryana) নুহের কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে বাসে আগুন লেগে আটজন নিহত ও কমপক্ষে ২৪ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি বৃন্দাবন থেকে ফিরছিল। বাসে আগুন লাগার কারণ এখনো অজানা সকলের। শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত কারণে পুণ্যার্থী বোঝাই একটি বাসে আগুন ধরে যায়। ঘটনায় বাসে থাকা আটজন জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন এবং দুই ডজনেরও বেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলন্ত বাসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পরে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনওরকমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে নিহতরা পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। যাঁরা মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে তীর্থ করে ফিরছিলেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। মৃত সরোজ পুঞ্জ ও পুনম জানিয়েছেন, শুক্রবার এক পর্যটক বাস ভাড়া করে বেনারস ও মথুরা বৃন্দাবন দর্শনের উদ্দেশে রওনা দেন। 

Bus Fire: আগুনে পোড়া বাস থেকে ১৩ যাত্রীর দেহ উদ্ধার

বাসের ভিতর থেকে পরপর পোড়া দেহ বের করল পুলিশ। কাউকে চেনা কঠিন। একেবারে পুড়ে কাঠ শরীরগুলো। ভয়াবহ দুর্ঘটনা মধ্যপ্রদেশের গুমায়। বাসের ভিতর পুড়ে মৃত্যু হলো কমপক্ষে ১৩ যাত্রীর। আরও অনেকে জখম।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে গুনা-হারুন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও ১৭ জন আহত হয়েছে এবং তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন যে তিনি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিহতদের স্বজনদের প্রত্যেককে 4 লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য 50,000 টাকা সহায়তা ঘোষণা করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুবই কম ছিল। সেই কারণেই উল্টো দিক থেকে আসা বাসটিকে দেখতে পায়নি ডাম্পারটি। সেই কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয।সংঘর্ষের অভিঘাতে উলটে যায় বাস। যার জেরেই আগুন লেগে যায় বাসে। মুহূর্তে গোটা বাসে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন।

ঘটনায় গুনার পুলিশ সুপার বিজয় কুমার খত্রী বলেন, ‘বুধবার রাত ৯টা নাগাদ গুনা থেকে আওরনের দিকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বেসরকারি বাস যাচ্ছিল। সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসছিল একটি ডাম্পার। বাস ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। কিছু লোক পালিয়ে বাঁচলেও বাসের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে গুনা জেলা হাসপাতালে। এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি নিহতদের। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জাতীয় সড়কে জ্বলছে বাস

জাতীয় সড়কে ফের জ্বলছে বাস। খড়্গপুরের পর এবার জলপাইগুড়িতে (jalpaiguri) একইরকম দুর্ঘটনা। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে উপর আগুন ধরে যায় বাসটিতে। তীব্র আতঙ্কে কোনোরকমে নেমে আসেন যাত্রীরা।

জানা গেছে বানারহাট থেকে জলপাইগুড়ি শহরের দিকে যাচ্ছিল একটি সরকারি বাস। ময়নাগুড়ি এলাকায় বাসে আগুন লেগে যায়। জ্বলতে থাকা বাসের ছবি দেখে শিহরিত রাজ্যবাসী। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (NBSTC) বাসটি চলতে চলতেই আগুন ধরে যায়। বাস জ্বলতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গত ১০ নভেম্বর কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী একটি বাস পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশ করার পর তাতে আগুন ধরে গেছিল। সেই  খড়গপুরে পৌঁছতেই জ্বলে গেছিল। সেবারও জাতীয় সড়কের উপর জ্বলছিল যাত্রীবোঝাই বাস। একাধিক যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন। দুদিনের মধ্যে এবার উত্তরবঙ্গে ঠিক একই পরিস্থিতি। এবার এনবিএসটিসি জ্বলে গেল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাসের ইঞ্জিন গরম হয়েই এই অঘটন ঘটেছে। 

গতকাল গিয়েছে কালীপুজো। সেই সুবাদে জলপাইগুড়িগামী বাসটি ভিড়ে ঠাসা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাস থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেই চালক বাসটিকে থামিয়ে দেন এবং হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে নেমে আসেন যাত্রীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলকর্মীরা। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। হতাহতের কোনও খবর নেই।

Jammu: দাউদাউ করে জ্বলছে তীর্থযাত্রী ভর্তি বাস, মৃত একাধিক

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল জম্মুতে। শুক্রবার জম্মুর কাটরার কাছে একটি বাসে আগুন লেগে চারজন যাত্রী নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

জম্মু পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বৈষ্ণো দেবীর তীর্থযাত্রীদের বহনকারী বাসটি কাটরা থেকে জম্মু যাচ্ছিল। এরপর হঠাৎই তাতে আগুন ধরে যায়। এদিকে তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জম্মু জোনের পুলিশের এডিজি মুকেশ সিং বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কোনো বিস্ফোরক ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনাও করেন তিনি।

তিনি বলেন, “কাটরায় মর্মান্তিক বাসের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমি মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আহতদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”