পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় ভারতীয় মহিলা দলের

জয় দিয়েই এবারের মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (Womens SAFF Championship) শুরু করল ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল…

জয় দিয়েই এবারের মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (Womens SAFF Championship) শুরু করল ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সন্তোষ কাশ্যপের মেয়েরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী পাকিস্তান ফুটবল দল। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের ব্যবধানে তাঁদের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে আশালতা দেবীর দল। এদিন ভারতের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে গ্ৰেস ড্যাংমেই, মনীষা কল্যাণ, বালা দেবী, এবং জ্যোতি। বলাবাহুল্য, এদিন দলের হয়ে জোড়া গোল করেন গ্ৰেস।

অপরদিকে পাকিস্তান দলের হয়ে দুইটি গোল করেন যথাক্রমে সুহা হিরানি এবং কায়লা সিদ্দিকী। তবে এদিন প্রথম থেকেই দাপট থেকেছে ভারতীয় মহিলা দলের। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘনঘন আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে শুরু করেছিল বালা দেবীরা। যার ফলে ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিটের মাথায় চলে আসে প্রথম গোল। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কার্যত বোকা বানিয়ে গোল করেন গ্ৰেস ড্যাংমেই। তারপর থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে ভারত। যা সামাল দিতে কার্যত নিজেহাল পরিস্থিতি দেখা দেয় প্রতিপক্ষ দলের।

   

সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই গোল করে যান মনীষা দেবী। দ্বিতীয় গোলের পর থেকেই ক্রমশ রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে পাকিস্তান। অপরদিকে ব্যবধান বাড়ানোই অন্যতম লক্ষ্য ছিল ভারতীয় কন্যাদের। তারপর ৩৫ মিনিটের মাথায় বালা দেবীর পা থেকে আসে ভারতের তৃতীয় গোল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের গোল। নিজের দ্বিতীয় গোল করে যান গ্ৰেস। একটা সময় চার গোলের ব্যবধানে দল এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে এসে পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান সুহা। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ৪-১ গোল।

তারপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের চাপ বাড়তে শুরু করে ভারত। কিন্তু পুনরায় গোলের মুখ খুলতে গিয়ে নাজেহাল পরিস্থিতি দেখা দেয় ফুটবলারদের। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ সংগঠিত করে ওঠার চেষ্টা করলেও বারংবার আটকে যেতে হচ্ছিল ফুটবলারদের। ইতিমধ্যেই ৪৭ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করে যান কায়লা সিদ্দিকী। যারফলে কিছুটা হলেও চাপে চলে আসে সন্তোষ কাশ্যপের মেয়েরা। কিন্তু সুযোগ বুঝেই পঞ্চম গোল তুলে নেয় ভারত।

৭৮ মিনিটের মাথায় আসে সেই গোল। তারপর ৮০ মিনিটের পর বেশকিছু পরিবর্তন করেছিল ভারতীয় ব্রিগেড। মনীষাকে বসিয়ে সন্ধ্যা রঙ্গনাথনকে নামান কোচ। কিন্তু আর ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলেই আসে জয়।