এবারের ফুটবল মরশুমের শুরুটা যথেষ্ট ভালো করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপ জয় করা সম্ভব না হলেও নিজেদের দাপুটে ছন্দে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতার এই ফুটবল দল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকেই হতশ্রী পারফরম্যান্স থাকে কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেদের।
বিশেষ করে চোট আঘাত জনিত সমস্যায় ছিটকে যেতে হয় দলের একের পর এক ডিফেন্ডারকে। ডুরান্ড কাপেই চোট পেয়ে ছিটকে যান অস্টেলিয়ান তারকা জর্ডান এলসে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা ছিল দলের কাছে। পরবর্তীতে হিজাজি মাহেরকে এনে পরিস্থিতি সামাল দেন দলের স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আইএসএল চলাকালীন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয় স্প্যানিশ ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাসকে। যারফলে অনায়াসেই নড়বড়ে হয়ে যায় লাল-হলুদের রক্ষনভাগ। দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে সার্বিয়ান তারকা আলেকজান্ডার প্যান্টিচকে দলে আনে মশাল ব্রিগেড। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে যথেষ্ট মানিয়ে নেন তিনি। বলতে গেলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লড়াইয়ে দলের রক্ষনভাগের অন্যতম ভরসা ও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন সিজনে আর তাকে দলে রাখেনি ইস্টবেঙ্গল। গত শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তার বিদায়ের কথা। তাহলে কে আসবেন দলের রক্ষনভাগ সামাল দিতে ?
মনে করা হচ্ছে নতুন সিজনের জন্য নিজেদের পুরোনো তারকার উপরেই ভরসা রাখছে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ নতুন মরশুমে ও হয়ত অস্ট্রেলিয়ান তারকা জর্ডান এলসকে দলে রেখেই ট্রফি জয়ের পরিকল্পনা করছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। গত কয়েকদিন আগে নিজের সোশ্যাল সাইটে লাল-হলুদ জার্সি পড়ে অনুশীলন করার ভিডিও আপলোড করেন এই ডিফেন্ডার। যারফলে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায় তার দলে যোগদানের কথা। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারীভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে তার যোগদানের কথা।