গতকাল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে শক্তিশালী কাতারের মুখোমুখি হয়েছিল ব্লু-টাইগার্স (Qatar vs India)। কুয়েত ম্যাচের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর এই ম্যাচের দিকেই নজর ছিল সকলের। আসলে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করতেই হত ইগর স্টিমাচের ছেলেদের। লড়াই কঠিন হবে জেনেও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সকলের।
ম্যাচের শুরু থেকেই তা বোঝা গিয়েছিল ব্যাপকভাবে। সময়ের সাথে সাথে প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে আপফ্রন্টের ফুটবলাররা। একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগও চলে এসেছিল রহিম আলীর কাছে। পরবর্তীতে ছাংতের গোলে এগিয়ে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সেই গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কাতার। সময় যতই এগোয় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে তাদের। এমনই সময় ম্যাচের ঠিক ৭৩ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ভারতীয় রক্ষণভাগে হানা দেয় প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সিন্ধু বলটি কে বিপদ মুক্ত করলেও তা কাজে আসেনি। সেখান থেকেই বল ভেতরে এনে ভারতের জালে জড়িয়ে যান কাতারের ফুটবলাররা।
স্টিমাচের ছেলেরা যার প্রতিবাদ করলেও তাতে কর্নপাত করেননি দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচ রেফারি উ-সুং কিম। তার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্তমানে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। নেট মাধ্যমে নেমে এসেছে নিন্দের ঝড়। কেন হঠাৎ এই গোলের সম্মতি দিলেন তিনি? সেই প্রশ্নই উঠে আসতে শুরু করেছে ব্যাপকভাবে।
ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ভারত-কাতার ম্যাচ ছাড়াও এবারের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকং-উজবেকিস্তান ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এছাড়াও জাপানের খেলা প্রদর্শনী ম্যাচের দায়িত্ব ছিল তার উপরে। সেইসাথে কোরিয়ান লিগ সহ এএফসি কাপের গ্ৰুপ পর্ব সহ প্লে-অফের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাউন্ডের ম্যাচের দায়িত্ব ও ছিল তার উপরে। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫টি ম্যাচ খেলিয়ে ফেললেন নিজের ক্যারিয়ারে। এত কিছুর পরেও তার এমন হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন।