দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে গত শুক্রবার। শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যারফলে প্রায় একুশ বছর পর সর্বভারতীয় স্তরের কোনও ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ দেখা দিয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। বছর একুশেক আগে শেষ বারের মতো জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা। তারপর ও বেশ কয়েকবার এই ট্রফি জয়ের সুযোগ এসেছিল ফুটবলারদের কাছে। কিন্তু সেই আশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
Also Read | আদ্রিয়ান লুনার বিকল্প খোঁজা শুরু কেরালার, কে আসবেন?
তবে এবার মহিলা দলের মধ্যে দিয়ে যেন শাপমোচন ঘটল ময়দানের এই প্রধানের। উল্লেখ্য, এই ওমেন্স লিগের শুরু থেকেই অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স ছিল আশালতা দেবীদের।প্রথম ম্যাচেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী কিকস্টার্ট এফসিকে। পরবর্তীতে হোপস থেকে শুরু করে নিতা ফুটবল অ্যাকাডেমি হোক কিংবা সেতু এফসি। প্রত্যেকটি দলের বিপক্ষেই সহজ জয় ছিনিয়ে নিতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। মাঝে কেরালার শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব গোকুলাম কেরালা এফসির কাছে পরাজিত হতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা দেখা দেয়নি অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েদের।
Also Read | কেরালা ব্লাস্টার্সে প্রায় নিশ্চিত এই স্প্যানিশ ফুটবলার
স্বাভাবিকভাবেই বাকিদের টেক্কা দিয়ে এই টুর্নামেন্ট জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। হাতে দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার জন্য মাত্র তিন পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল রেষ্টি নানজিরিদের। সেই মর্মে গত শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন দল তথা ওডিশা এফসির সঙ্গে খেলতে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। জয়সূচক গোলটি করেন সৌম্যা গুগুলথ। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। তবে এখনই ট্রফি হাতে পাচ্ছে না দল।
টুর্নামেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ম্যাচ বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গল সহ অন্যান্য ফুটবল দল গুলির। সূচি অনুসারে আগামী ১৮ই এপ্রিল নিজেদের ক্লাবের মাঠে আইডাব্লুএলের নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নামবে মশাল কন্যারা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে শক্তিশালী গোকুলাম কেরালা এফসির সঙ্গে। এই ম্যাচের পরেই ফুটবলারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বহু কাঙ্ক্ষিত সেই ট্রফি। যার সাক্ষী থাকতে মরিয়া আপামর ইস্টবেঙ্গল জনতা।