গতবারের মতো এবারও মরসুমের শুরু থেকেই দারুন ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সময়ের সাথে সাথেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে ময়দানের এই প্রধান। যারফলে বাকিদের টেক্কা দিয়ে অনায়াসেই তাঁরা চলে আসে লিগ টেবিলে সবার উপরে। এমনকি নতুন বছরে ও বজায় থেকেছে সেই ধারা। দুর্বল হায়দরাবাদ এফসিকে পরাজিত করার পর হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। যারফলে গত বছরের মতো এবার ও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন।
বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে প্রতিপক্ষ দল গুলির তুলনায় পয়েন্টের নিরিখে ও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে গতবারের শিল্ড জয়ীরা। মাঝে দুইটি ম্যাচে জামশেদপুর এফসির পাশাপাশি আটকে যেতে হয়েছে দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসির কাছে। সেই নিয়ে কিছুটা হতাশা দেখা দিলেও পরবর্তী ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি মেরিনার্সদের। অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে। বিশ্বমানের গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। তবে তিনি একানন। বাগানের এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ।
মাঝে চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে খেলতে গিয়ে চোট সমস্যা দেখা দিলেও সেখান থেকে ফিরে আসতে খুব একটা সমস্যা হয়নি জাতীয় দলের এই গোলরক্ষকের। এমনকি গত ম্যাচে কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ও দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল বিশাল কাইথের। অনায়াসেই তিনি আটকে দিয়েছিলেন অ্যালেক্সিস গোমেজদের। যারফলে ক্লিনশিট রাখতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বাগান শিবিরের। সেই সুবাদেই অভিনব রেকর্ড করে বসেন বিশাল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে মোট ৫০টি ক্লিনশিট রাখার রেকর্ড গড়েছেন কাইথ। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এই ফুটবলারের।
সেই সুবাদেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং আইএসএলের তরফে তাঁকে সম্মানিত করার কথা জানানো হয়েছে। বিশালের এমন সাফল্য নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে গোটা দলকে। অপরদিকে, বিশাল কাইথকে এবার পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ থাকবে লুকা মাজসেন থেকে শুরু করে ফিলিপ মিজলজ্যাকের মতো ফুটবলারদের।