ষোলো বছর ধরে আইপিএল ট্রফি অধরা থাকা হয়তো এমন বিশেষ ব্যাপার না বিরাট কোহলির সাথে। তবে শেষ কিছু বছরে লিগ টেবিলের এত নীচে শেষ করেনি তারা। কিন্তু, এবার লক্ষ বদলানোর সময়। হাতে এক মাসও বাকি নেই বিশ্ব টেস্ট (World Test Championship) চ্যাম্পিয়নশিপের। শেষ বার নিয় জ়িল্যান্ডের কাছে গো হারা হেরেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন থাকা ভারতীয় দল। তবে, আশা করা যায়, ভারতীয় দল এবার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে ট্রফি জেতার। সূত্রের খবর, বিরাট কোহলি সহ আরও সাত জন ভারতীয় ক্রিকেটার এই মঙ্গলবারই রওনা দেবেন দ্য ওভাল অর্থাৎ ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে।
বিরাট কোহলির সাথে যাবেন তাঁরই আরসিবি দলের মহম্মদ সিরাজ। ওদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর পটেল, শার্দুল ঠাকুর, উমেশ যাদব ও জয়দেব উনদকাটও যাবেন সাথে। উনদকাট ও উমেশ, দুজনেই চোটের কারণে আইপিএল সেভাবে খেলতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, তারা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য এনসিএ শিবিরে যথাযথ অনুশীলনও নিচ্ছেন।
এদিকে বাংলার মুকেশ কুমারের নাম শুরুতে অতিরিক্তের খাতায় এলেও এখন তিনি প্রধান দলেই রয়েছেন, অতএব তিনিও যাচ্ছেন সাথে। ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য নেট বোলার হিসাবে আরও তিনজন পেসারকে নিচ্ছে – অনিকেত চৌধুরী, আকাশ দীপ এবং ইয়ারা পৃথ্বীরাজ – যাদের বিসিসিআই-এর নির্বাচন প্যানেল বাছাই করেছে।
কাউন্টি ক্রিকেট খেলার কারণে ইংল্যান্ডে আগে থেকেই রয়েছেন চেতশ্বর পূজারা। কাউন্টিতে সাসেক্সের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন তিনি, দুটি সেঞ্চুরিও রয়েছ তাঁর নামে। বাকি রইলেন – রোহিত শর্মা, ইশান কিশান, শুভমান গিল, মহম্মদ শামি, কে এস ভরত এবং অজিঙ্কা রাহানে। তাদের আইপিএল দায়িত্ব শেষ করেই তাঁরা ইংল্যান্ড চলে যাবেন।
যেখানে ভারতের মোটামুটি সবাই আইপিএল খেলছেন, সেখানে অস্ট্রেলিয়া দলের মোটে তিন জন খেলছেন এই টুর্নামেন্ট। সে ক্ষেত্রে, প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেন যে অজিরা তুলনামূলক ভাবে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকবেন।
পন্টিং বলেন, “এটিকে দু’ভাবে দেখা যায়। বিরাট কোহলির মতো কেউ যিনি ভালো খেলছেন, নিয়মিত রান করছেন, তাঁর কাছে যে কোনো টুর্নামেন্টে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলা কোনো ব্যাপার না। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া হয়তো অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে, তবে মানসিক ভাবে ভারতীয়দের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।”
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠল। তাঁরা লর্ডসে ২০২১ সালের ফাইনালে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। এমএস ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর থেকে ভারতীয় দলের জন্য একটি প্রথম আইসিসি ট্রফি হলেও হতে পারে।