মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ভাইরাল প্রেস বিবৃতি ঘিরে চাঞ্চল্য

গত শুক্রবার, ১০ জনের মহামেডান (Mohammedan SC) স্পোটিং ক্লাবকে বাগে পেয়েও হারাতে পারে নি সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণ সমৃদ্ধ বেঙ্গালুরু এফসি। খেলার অন্তিম মুহুর্তে বেঙ্গালুরু…

গত শুক্রবার, ১০ জনের মহামেডান (Mohammedan SC) স্পোটিং ক্লাবকে বাগে পেয়েও হারাতে পারে নি সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণ সমৃদ্ধ বেঙ্গালুরু এফসি। খেলার অন্তিম মুহুর্তে বেঙ্গালুরু এফসি গোল পায়। ৯১ মিনিটে বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচে গোলের সমতায় ফিরে আসে।শিব শক্তির ক্লোজ রেঞ্জ শট থেকে গোল, মহামেডান স্পোটিং ১-১ বেঙ্গালুরু এফসি, এই হচ্ছে গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচের স্কোরলাইন। প্রীতম সিংর করা গোলে ১৪ মিনিটেই লিড নিয়েছিল ব্ল্যাক প্যাহ্নর্সরা।

১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি ম্যাচ শেষে, এর আগে ৭৩ মিনিটে মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের অভিষেক হালদার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ফেলে। দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ডের গুতোয় ফুটবল নিয়মে তা লাল কার্ড হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় অভিষেক মাঠ ছাড়লে মহামেডান ১০ জন হয়ে পড়া। সব মিলিয়ে সাদা কালো সমর্থকরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রেগে অগ্নিশর্মা।

মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সমর্থকদের রাগের বহিঃ প্রকাশ ঘটে ম্যাচ শেষে, যখন সমর্থকরা নিজেরাই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নিজেদের দলের হোডিংগুলো ছিঁড়তে শুরু করে। মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়ায়।ম্যাচ চলাকালীন কর্তব্যরত পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সাদা কালো সমর্থকদের এহেন আচরণে “নিন্দার ঝড়” ওঠে দেশের ক্রীড়ামহল জুড়ে।

গত শুক্রবারের এমন ঘটনার জেরে শনিবার মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই প্রেস বিবৃতিতে গতকাল অর্থাৎ শনিবার ম্যাচ শেষে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সমর্থকদের উগ্র আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা চাওয়ার পাশাপাশি সমর্থকদের উদ্দ্যেশে সংযত আচরণের প্রত্যাশা করা হয়েছে। ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”আমরা জেতার জন্য খেলি। আমরা আমাদের ভক্ত ও সমর্থকদের জন্য সব খেলাই জিততে চাই। কখনও আমরা জিতেছি, কখনও কখনও আমরা হারি এবং কখনও কখনও উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়।

আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের ভক্তদের আবেগ বুঝি এবং সম্মান করি। তবে গতকালের ডুরান্ড কাপ গ্রুপ এ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি এবং প্রতিপক্ষ দলের প্রতি আমাদের ভক্তদের ইন-স্টেডিয়ার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়।

আমাদের সমর্থকদের বুঝতে হবে যে পিচের দল যেমন মাঠে ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করে তেমনি সমর্থক ও সমর্থকরা মাঠের বাইরে দলের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা আমাদের অনুরাগীদের অনুরোধ করছি দয়া করে তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করুন এবং এটিকে ইতিবাচকভাবে চিত্রিত করুন।

আবারও আমরা আমাদের অনুরাগীদের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির কাছে ক্ষমা চাইতে চাই এবং আমরা তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আগামী দিনে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই জাতীয় জিনিসগুলি যত্ন নেওয়া হবে। আমরা আমাদের ভক্তদের বিশ্বাস করি এবং আমরা জানি তারা সেরা।”

প্রসঙ্গত, দু’দলই বল পায়ে গোলের লিড বাড়ানোর জন্য ঝাপায়। সুযোগ পেয়েছিল দু’দলের খেলোয়াড়রা,অথচ গোল করতে পারেনি। তাই রেফারির শেষ বাশি বাজতেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র, পয়েন্ট ভাগ করে নেয় দু’দল। টানা তিন ম্যাচে জয় এবং চার নম্বর ম্যাচে ড্র মহামেডানের।

১৩১ তম চলতি ডুরান্ড কাপে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ৯ পয়েন্ট জোগার করে আন্দ্রে চেরনশিভের ছেলেরা আগেই টুর্নামেন্টের নক আউট স্টেজে চলে গিয়েছিল। বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচটা ছিল মহামেডান স্পোটিংর খেলোয়াড়দের কাছে নিজেদের শক্তি- দুর্বলতা ঝালিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা। এই ম্যাচ নিয়ে মহামেডানের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে ক্লাব অফিসিয়ালরাও ওৎ পেতে বসেছিল দেখার জন্য টিম কেমন পারফর্ম করে বিদেশী ফুটবলারে ভরা বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে?