‘ভিলেন’ ডাক্তার? ভিনেশ বিতর্কে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়

Vinesh Phogat

প্যারিস অলিম্পিকে ভিনেশ ফোগাটের (Vinesh Phogat) সঙ্গে যা হয়েছে, তা আপাতত কারোর কাছেই অজানা নয়। রেসলিং সেমি ফাইনাল ম্যাচে জয়লাভ করার পর ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগেই ছিটকে যান ভিনেশ। গত চার বছর ধরে তিনি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন, তা মাত্র ১০০ গ্রাম শারীরিক ওজন বেশি হওয়ার কারণে ধুলোয় মিশে যায়। প্যারিস অলিম্পিক থেকে ভিনেশ ছিটকে যাওয়ার পর ভারতীয় ক্রীড়া সমর্থকদের মনে হাজার একটা প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করে। তবে সবার আগে যে প্রশ্নটা ভারতীয়দের ভাবাচ্ছে, তা হল এই যে ভিনেশের ওজন রাতারাতি কীভাবে বেড়ে গেল? বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই সকলে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ‘সিলসিলা’ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তো অনেকে আবার ভিনেশের চিকিৎসকের উপরেও আঙুল তুলতে শুরু করেছে।

Advertisements

২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে দীনেশা পারদিওয়ালাকে ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাটের চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অনেকেই দীনেশা পারদিওয়ালাকে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অভিযোগ করেছেন যে তিনি নাকি সঠিকভাবে ভিনেশের ডায়েটের খেয়াল রাখেননি। আর সেকারণেই ভিনেশের ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এই অভিযোগের কি আদৌ কোনও ভিত্তি রয়েছে? IOA সভাপতি পিটি ঊষা গোটা বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর মতে, একজন খেলোয়াড় কোন ডায়েট গ্রহণ করবেন, সেই দায়িত্বটা তাঁকেই নিতে হবে। এই দায়িত্ব না তাঁর কোচের না চিকিৎসকের। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, দীনেশা পারদিওয়ালা ইতিপূর্বে ঋষভ পন্থেরও চিকিৎসা করেছেন।

   

এদিকে, ভিনেশ ফোগাটকে নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভিনেশ ফোগাটকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। তবে কংগ্রেস দাবি করলেও, চলতি বছর ভিনেশকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়া একেবারে সম্ভব নয়। কিন্তু, এমন কোনও বিধি আদৌ রয়েছে যা ভিনেশকে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে এন্ট্রি দিতে পারে? আসুন, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

Advertisements

কংগ্রেসের বক্তব্য
হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডা লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কাছে রাজ্যসভার একটি আসন ফাঁকা রয়েছে। ভূপেন্দ্র হুডা জানিয়েছেন যে যদি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হত, তাহলে ওই আসনেই ভিনেশ ফোগাটকে সাংসদ পদে নিয়োগ করা হত। কিন্তু, আপাতত কংগ্রেস চাইলেও এমন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।