গত সিজনে ভালো ফুটবল খেলে ও চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট তথা কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া ছিল দেশের ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। দাপুটে ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এফসি গোয়ার কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। সেই হতাশা কাটিয়ে এবার এই নতুন সিজনে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া জামশেদপুর দল। সেইমতো এই ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে ধরা দিয়েছিল দলের ফুটবলাররা।
টিবেটিয়ান আর্মি থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান আর্মি হোক কিংবা লাদাখ ওয়ান এফসি। প্রত্যেকটি ম্যাচেই দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। যারফলে অনায়াসেই কোয়ার্টার ফাইনালে স্থান পাকা করে নেয় দেশের শিল্প নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। আগামী ১৭ই আগস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে জামশেদপুর ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে কিবু ভিকুনার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি। লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভাল মতই জানেন প্রত্যেকে। তবুও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ দলের সকল ফুটবলারদের।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সিজন ধরেই ভারতীয় কোচ খালিদ জামিলের হাত ধরে যথেষ্ট ভালো ছন্দে দেখা গিয়েছিল জামশেদপুর দলকে। তবে বর্তমানে ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব পেয়েছেন খালিদ। স্বাভাবিকভাবেই এবার থেকে তিনি যে আর ক্লাবের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না স্পষ্ট হয়ে গেছিল সেই বিষয়টি। গতকাল রাতে নিয়ে যা সোশ্যাল সাইট থেকেই জাতীয় দলের বর্তমান কোচের সঙ্গে চুক্তি শেষ করার কথা জানিয়ে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। যারফলে এখন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করবেন ডায়াস। এবার দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ খালিদের এই প্রাক্তন সহকারীর।
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য উইঙ্গার ভিন্সি ব্যারেটো (Vincy Barretto) বলেন, ” আমি কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য।” এছাড়াও ডুরান্ড কাপের মতো ফুটবল টুর্নামেন্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন গোয়ার এই ফুটবলার। আরো বলেন, “সিজনের শুরুতে ডুরান্ডের মতো একটি টুর্নামেন্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ – এটি দলকে গতি দেয় এবং ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। সকলেই দলের হয়ে শিরোপা জেতার চেষ্টা করে।”