আইএসএলের দ্বিতীয় লেগ শুরু করার আগে বর্তমানে যথেষ্ট চাপে রয়েছে সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan) ব্রিগেডকে। পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে অভিযান শুরু হলেও গত ওডিশা ম্যাচ থেকেই ছন্দ হারাতে শুরু করে দল। পরবর্তীতে পেট্রো ক্রাটকির মুম্বাই সিটি এফসি থেকে শুরু করে মানালো মার্কেজের এফসি গোয়া হোক কিংবা আদ্রিয়ান লুনার কেরালা ব্লাস্টার্স। একের পর এক ম্যাচে পরাজয়। বলতে গেলে আইএসএলে এই মরশুমে পরাজয়ের নয়া রেকর্ড গড়েছে মেরিনার্সরা। তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি দলের সমর্থকরা।
সেজন্য, গত বছরের শেষের দিকে ছাঁটাই করা হয় গতবারের আইএসএল জয়ী কোচ হুয়ান ফেরেন্দোকে। পরিবর্তে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে গুরু দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, এই দলের হয়ে হাবাসের দায়িত্ব গ্রহণ কোন নতুন বিষয় নয়। পূর্বেও এটিকে থেকে শুরু করে এটিকে মোহনবাগান দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তার হাত ধরে বহু উত্থান পতনের সাক্ষী থেকেছে এই ফুটবল দল।
বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে কঠোর অনুশীলন করছেন বাগান ফুটবলাররা। আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। সেই নিয়ে উন্মাদনা ও চরমে সকলের মধ্যে। বলতে গেলে এই ম্যাচ জিতেই দ্বিতীয় লেগ শুরু করতে চাইছে মেরিনার্সরা। গত সুপার কাপে প্রতিপক্ষ দল ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। সেই বদলা নেওয়ার লড়াই এখন এই প্রধানের। কিয়ান নাসিরি থেকে শুরু করে রাজ বাঁশফোর হোক কিংবা রবি রানা। সকলেই অনুশীলন করছেন কোচের অধীনে। এছাড়াও বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে মরোক্কান তারকা হুগো বুমোস থেকে জেসন কামিন্স সকলেই। তবে এবার বুমোস প্রসঙ্গে উঠে আসলো নয় তথ্য।
যতদূর জানা যাচ্ছে, সবুজ-মেরুনে আর হয়তো থাকা হচ্ছে না হুগো বুমোসের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ফেরেন্দোর পর হাবাসের হাতে দায়িত্ব আসতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ। গত কয়েক মরসুম ধরে ময়দানের প্রধানের জার্সিতে দাপিয়ে খেললেও এবার হয়তো বিদায় নিতে হবে এই তারকাকে। উল্লেখ্য, আইএসএলের শেষের থেকেই কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন বুমোস। যা কিছুতেই ভালোভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্ট।
পাশাপাশি এবারে নতুন মরশুমে দুটি ডার্বিতে পরাজিত হতে হয়েছে বাগানকে। যেখানে একেবারেই নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল এই মরোক্কান তারকাকে। তাই সব ঠিক বিচার বিবেচনা করেই নাকি এবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান। যতদূর খবর, তিনি হয়তো ফিরে যেতে পারেন নিজের পুরনো ক্লাব মুম্বাই সিটি এফসিতে। তবে এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি কোনো কিছু।