ইংল্যান্ডকে চরম লজ্জার রাত উপহার দিল হাঙ্গেরি। উয়েফা নেশন্স লিগের (UEFA Nations League) ম্যাচে ৪-০ গোলে ইংরেজদের হারাল তারা। ১৯২৮ সালের পর অর্থাৎ দীর্ঘ ৯৪ বছর পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের এটাই সবথেকে বড় পরাজয়।
শুধু তাই নয়, ১৯৫৪ বিশ্বকাপে ফেরেঙ্ক পুসকাসের হাঙ্গেরি ইংল্যান্ডকে সাত গোল দিয়েছিল। তবে সেটা ইংরেজদের ঘরের মাঠে ছিল না। তবে ৬৮ বছর পর এটাই সবথেকে বড় পরাজয় ইংল্যান্ডের। হ্যারি কেন, রহিম স্টার্লিং, ম্যাসন মাউন্ট, ফিল ফডেন- কেন নেই ইংল্যান্ড দলে। এককথায় তারকার ছড়াছড়ি। সেদিক থেকে ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা কোনও ফুটবলারই নেই এই হাঙ্গেরি দলে। তবুও বিশ্বের পাঁচ নম্বর দলকে গুনে গুনে চার গোল দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের জাল অক্ষত রাখল হাঙ্গেরি।
যুবভারতীতে যখন সুনীল ছেত্রী গোল করে হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে ছুঁলেন, তখন হয়তো তাদের সমর্থকরা কিছুটা হলেও মনমরা হয়েছিলেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই তাদের জাতীয় দল এত বড় চমক দেবে, এটা হয়তো হাঙ্গেরির অতি বড় ফুটবল ভক্তও কল্পনা করেননি। ম্যাচরে ১৬ মিনিটে রোলান্ড সালাই প্রথম গোলটি করেন। গোল হজম করে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। কিন্তু সফল হয়নি। উলটে ৭০ মিনিটের মাথায় রোলান্ড দ্বিতীয় গোলটি করে জয় নিশ্চিত করে হাঙ্গেরির।
গোলের জন্য যখন অলআউট ঝাঁপিয়েছে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইংল্যান্ড, সেই সুযোগ নিয়ে ৮০ মিনিটে তিন নম্বর গোলটি করে ফেলেন সল্ট ন্যাগি। এর মিনিট দুয়েক পরই মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জন স্টোনস। ১০ জনের ইংল্যান্ডকে পেয়ে ৮৯ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোলটি করে ফেলেন ড্যানিয়েল গাজডাগ। চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ৩-এর শীর্ষে উঠে এল হাঙ্গেরি। আর একটিতেও জয়ের দেখা না পাওয়া ইংল্যান্ড তালিকায় সবার নীচে। চলতি নেশন্স লিগ থেকে কার্যত বিদায় হয়ে গেল তাদের।