East Bengal: হায়দরাবাদের এই তারকার দিকে নজর ইস্টবেঙ্গলের, কে এই ফুটবলার?

আগত ফুটবল মরশুমের কথা মাথায় রেখে ঝড়ের বেগে দল গোছানো শুরু করে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত কয়েক মরশুম খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না…

Hitesh Sharma

আগত ফুটবল মরশুমের কথা মাথায় রেখে ঝড়ের বেগে দল গোছানো শুরু করে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গত কয়েক মরশুম খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না হলেও এবার নিজেদের সেরাটা দিতে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইছে না ক্লাব। সেজন্য গতবারের দল থেকে মাত্র কিছু ফুটবলারকে রেখে বাকি ১১ জনকে কয়েকদিন আগেই রিলিজ করে দেয় ক্লাব।

যাদের মধ্যে সিনিয়র ফুটবলারদের পাশাপাশি জুনিয়র দল থেকে ছিলেন ডেভলপমেন্ট লিগ খেলা হিমাংশু জ্যাংড়া। তারপর থেকেই একের পর এক ফুটবলার সই করিয়েছে ক্লাব। যাদের মধ্যে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি ছিল বেশকিছু বিদেশি ফুটবলার। গত আইএসএল মরশুম শেষ হওয়ার পর থেকেই যাদের অনেকের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছিল ম্যানেজমেন্ট। একে একে ক্লাবের তরফ থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হতে থাকে সেই সমস্ত ফুটবলারদের নাম।

   

এক্ষেত্রে প্রথমেই উঠে আসে নন্দকুমার শেখরের নাম। আগত তিনটি মরশুমের জন্য ওডিশা এফসি ছেড়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলে নাম লিখিয়েছেন সুপার কাপ জয়ী এই ফুটবলার। তার ঠিক কিছুদিন পর ঘোষণা করা হয় নিশু কুমারের নাম। আগামী একটি বছরের জন্য কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে লোনে ইস্টবেঙ্গলে এসেছেন তিনি। তবে নিশু এখানে, কেরালা থেকে নিজেদের ঘরের ছেলে কে ও ঘরে ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। তিনি হরমনজোত সিং খাবার। একটা সময় টানা সাতটি মরশুম খেলেছিলেন এই লাল-হলুদ জার্সিতে। দলের হয়ে ডার্বি জেতার পাশাপাশি আইএফএ শিল্ড থেকে শুরু করে ফেডারেশন কাপ হোক কিংবা কলকাতা লিগ সবকিছুই জেতার নজির আছে। পরবর্তীতে বেঙ্গালুরু এফসি ও চেন্নাইন এফসির হয়ে ও আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। ফের কামব্যাক ইস্টবেঙ্গলে।

এসবের মাঝেই এবার ইমামি ম্যানেজমেন্টের নজরে হায়দরাবাদ এফসির তরুণ ফুটবলার হিতেশ শর্মা। গত ফুটবল মরশুমে হায়দরাবাদ এফসির জার্সিতে খেলেছিলেন তিনি। মূলত মাঝমাঠের তারকা হলেও যেকোনো সময় হানা দিতে পারেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। এভাবেই একাধিকবার সকলের নজরে এসেছিলেন তিনি। আসন্ন মরশুমের জন্য তাকেই নাকি চাইছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যতদূর খবর আগামী বছর পর্যন্ত হায়দরাবাদ দলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে এই তরুণ ফুটবলারের। তাই এখন দলে নিতে গেলে ট্রান্সফার ফি দিয়েই নিয়ে যেতে হবে লাল-হলুদ কে। তাতে আদৌ কতটা রাজি হয় ইমামি ম্যানেজমেন্ট, এখন সেটাই বড় কথা।