শেষ কয়েক বছরে সাফল্যের একেবারে চরম শিখরে গিয়ে পৌঁছেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। একের পর এক ট্রফি সহজেই এসেছে ঘরে। গত সিজনের প্রথম দিকে কিছুটা হোঁচট খেতে হলেও অনায়াসেই সেই সমস্ত ভুলভ্রান্তি শুধরে নিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সময় যত এগিয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগান দলকে। শক্তিশালী দলগুলির বিপক্ষে অতি সহজেই এসেছিল জয়। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে সাফল্যের পথ প্রশস্ত করতে সক্ষম হয় জোসে মোলিনার ছেলেরা। তাই অনায়াসেই লিগ শিল্ড জয় করেছিল মেরিনার্সরা।
যারফলে টানা দ্বিতীয়বার তাঁরা জয় করে এই শিরোপা। কিন্তু সেখানেই থামেনি দল। আইএসএল ফাইনালে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে অনায়াসেই লিগ ট্রফি জয় করেছিল গঙ্গা পাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। যার ফলে সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাস। দেশের প্রথম কোনও দল হিসেবে এক সিজনে এই দুইটি ট্রফি জয় করে মোহনবাগান। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। নির্ধারিত নব্বই মিনিট পর্যন্ত অমীমাংসিত ফলাফল বজায় থাকলেও অতিরিক্ত সময় গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপে সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে শিল্ড জয়ের ফলে নতুন সিজনে ফের এএফসির টুর্নামেন্টে অংশ নেবে মোহনবাগান। এক্ষেত্রে নিজেদের ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই প্রধান লক্ষ্য কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। সেজন্য, বহু আগে থেকেই কেরালার দাপুটে মিডফিল্ডার আব্দুল রাবীহর (Abdul Rabeeh) দিকে নজর ছিল সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের। কথাবার্তা ও এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটা দূর। কিন্তু এবার ট্রান্সফার ফি নিয়ে দেখা দিয়েছে নয়া সমস্যা। শোনা যাচ্ছে, হায়দরাবাদ এফসির শর্তের সঙ্গে বর্তমানে সহমত পোষণ করা সম্ভব হচ্ছে না সবুজ-মেরুনের।
যার ফলে বর্তমানে থমকে গিয়েছে সেই চুক্তি। পাশাপাশি আইএসএল ঘিরে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। মনে করা হচ্ছে আইএসএল এর চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর হয়তো বদলাবে পরিস্থিতি।