Transfer Buzz: বর্তমানে একেবারে শেষ লগ্নে এসে উপস্থিত হয়েছে এবারের ফুটবল মরশুম। আগামী ৪ আইএসএল ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের সিজন। তারপর বিরতি। জুলাই মাসের শেষ দিকে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন মরশুম। সেইজন্য এখন থেকেই নতুন মরশুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রত্যেকটি ফুটবল ক্লাব। আইএসএল হোক কিংবা আইলিগ প্রত্যেকটি টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে দলগুলির।
এক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে নেই কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান স্পোটিং ক্লাব। এছাড়াও সময় এগোনোর সাথে সাথে দল গঠনের লড়াইয়ে নেমেছে বেঙ্গালুরু এফসি থেকে শুরু করে মুম্বাই সিটি ও কেরালা ব্লাস্টার্সের মতো ক্লাব গুলি।
এক্ষেত্রে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলারদের দিকে নজর রয়েছে তাদের। উল্লেখ্য, এই আইএসএলের শেষ লগ্নে এসেই খেলোয়াড় চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং থেকে তিন বছরের চুক্তিতে তারা দলে চূড়ান্ত করে ফেলে ভারতীয় স্ট্রাইকার ডেভিড লালাসাঙ্গাকে। এছাড়াও পাঞ্জাব এফসির ফরাসি তারকা মাদিহ তালালের সঙ্গেও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে চুক্তি।
অর্থাৎ নতুন সিজনে ইস্টবেঙ্গল দলের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে এই ফুটবলারকে। এছাড়াও দলের পুরনো ফুটবলারদের মধ্যে অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে সাউল ক্রেসপো এবং হিজাজী মাহেরের মতো ফুটবলারের সঙ্গে ও চুক্তি বাড়িয়েছে ক্লাব। অন্যদিকে, আগামী মরশুমে বেশ কিছু বদল আসতে পারে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ফুটবল দলে।
সেক্ষেত্রে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকু। এই ফুটবলারের বদলে দলে আসতে পারেন জ্যামি ম্যাকলারেন। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত নয় কোন কিছু। এসবের মধ্যেই উঠে আসতে শুরু করেছে এক অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডারের নাম। তিনি কার্টিস গুড। এই ফুটবল সিজনে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সিটির হয়ে খেলেছেন এই সেন্টারব্যাক। সদ্য তাকে বিদায় জানিয়েছে ক্লাব। বর্তমানে ফ্রী এজেন্ট রয়েছেন এই তারকা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, নতুন সিজনের জন্য এই ফুটবলারকে পেতে চাইছে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি।
উল্লেখ্য, এই সিজনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার জর্ডান এলসেকে চূড়ান্ত করার সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে আসরে নামে বেঙ্গালুরু এফসি। শেষ পর্যন্ত নিজের দেশেই থেকে গিয়েছিলেন এই ফুটবলার। তবে নতুন সিজেনে ভারতে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই জোড়ালো হয়ে উঠেছে এই তারকার।