কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মুম্বাই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে ও আটকে যেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। পরবর্তীতে ফের দল ঘুরে দাঁড়ালেও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। চেন্নাইয়িন এফসি থেকে শুরু করে পাঞ্জাব এফসি হোক কিংবা নর্থইস্ট ইউনাইটেড। আইএসএলের একাধিক ফুটবল দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল গতবারের আইএসএল জয়ী এই দলকে। যার প্রভাব পড়েছিল লিগ টেবিলে। সেই নিয়ে হতাশ ছিল সকল সমর্থকরা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথেই বদলাতে শুরু করেছিল গোটা পরিস্থিতি। দ্বিতীয় লেগে একের পর এক দলকে টেক্কা দিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল বাণিজ্য নগরীর এই ফুটবল দল।
এমনকি লিগের শেষ অ্যাওয়ে ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে। যারফলে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিল গতবারের আইএসএল জয়ীরা। তারপর আন্তর্জাতিক বিরতির পর গত সপ্তাহের শেষে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মুম্বাই শিবির। যেখানে তাঁদের পুনরায় লড়াই করতে হয়েছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। পূর্বে লিগ ম্যাচ তথা নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মুম্বাই সিটির দাপট থাকলে ও সেটা বজায় থাকেনি চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে। অনায়াসেই জয় পেয়েছিল সুনীল ব্রিগেড। পাঁচটি গোলের ব্যবধানে এসেছিল জয়।
আইএসএলের সেই হতাশা ভুলে কলিঙ্গ সুপার কাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল রনবীর কাপুরের দলের। সেইমতো শুরু ও করেছিল সকলে। কিন্তু তা বজায় থাকেনি বেশিদূর। শেষ পর্যন্ত ছিটকে যেতে হয়েছিল সর্বভারতীয় এই কাপ টুর্নামেন্ট থেকে। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়েছে মরসুম। যা নিঃসন্দেহে বিরাট ধাক্কা। তবে এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে দলের বেশ কিছু ফুটবলারদের বদল করার পাশাপাশি পুরনো কিছু ফুটবলারের সঙ্গে নয়া চুক্তি করতে চাইছে সিটি ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল তিরির নাম।
অবশেষে সেটাই হয়েছে এবার। গত রবিবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে এই স্প্যানিশ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেয় সিটি ম্যানেজমেন্ট। যারফলে আরও একটি মরসুমে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে তিরিকে।