বিশ্ব ক্রিকেটে এমন একাধিক দাদা-ভাই জুটি রয়েছে যাদের মনে রাখবে ক্রিকেট ইতিহাস। সম্পর্কে দাদা ভাই বলে নয়, ইতিহাস মনে রাখবে তাঁদের পারফরম্যান্সের জন্য।
মার্টিন ও জেফ
মার্টিন ক্রো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার এক কিংবদন্তি। ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপে করেছিলেন সর্বোচ্চ রান, ৪৫৬। গড়ে ১১৪ রান। এক সময় সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য করা হতো তাঁকে। ১৯৮৫ সালে হয়েছিলেন Wisden Cricketer।
জেফ ক্রো কয়েকটি ম্যাচে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হয়েছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে আইসিসির ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়।
গ্রান্ট ও অ্যান্ডি
ক্রিকেট বিশ্বে জিম্বাবুয়ের উত্থানের পিছনে অন্যতম কারণ ফ্লাওয়ার ভাইরা। দাদা ভাই দুজনেই ছিলেন দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ। বিশেষ করে গ্রান্ট। ব্যাটে পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুরন্ত ছিলেন তিনি। অবসরের পর কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন দুই ভাই।
ওয়া ভাই
স্টিভ ওয়া এবং মার্ক ওয়া। ক্রিকেট দুনিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার দাপটের যুগের অন্যতম দুই কান্ডারী। স্টিভের অধিনায়কত্বে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এখনও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হন এই হল অব ফেমার।
মার্ক ছিলেন অলরাউন্ডার। ব্যাট বল দুটোই করতেন সমান ভাবে। চোট সমস্যা এড়ানোর জন্য পেস বোলিং ছেড়ে পরে বেছে নিয়েছিলেন অফ স্পিন বোলিংকে।
পাঠান ব্রাদার্স
কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময় ইরফান পাঠান এবং ইউসুফ পাঠান একসঙ্গে খেলেছেন। ইউসুফ ইরফানের দাদা। ভারতের ক্রিকেটার অন্যতম বিগ হিটার হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। বল হাতেও নিয়েছেন প্রচুর উইকেট।
ইরফান মাত্র ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন। কেরিয়ারে একাধিকবার ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মতো স্পেল তিনি উপহার দিয়েছেন। ইউসুফের মতো ইনিও একজন অলরাউন্ডার।
হাসি আর হাসি
একটু বেশি বয়সে জাতীয় দলের সুযোগ পেয়েছিলেন মাইকেল হাসি। কেরিয়ার তুলনামূলক ছোটো হলেও মনে রাখার মতো। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং গড় ৫১.৫২। একদিনের ক্রিকেটে গড় রান ৪৮.১৫। ২০১২ সালে ২২ গজকে বিদায় জানিয়েছিলেন মিস্টার ক্রিকেট।
তাঁর ভাই ডেভিড হাসি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পাননি কখনও। একদিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ৩২.৬৫, কুড়ি বিশের ক্রিকেটে ২২.৯০।