টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক শুভ্রকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের টুইট ঘিরে চাঞ্চল্য

শারীরিকভাবে-প্রতিবন্ধী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শুভ্র জোয়াদারকে (Subhra Joardar) নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের এক টুইট ভিডিও প্রকাশ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। Advertisements ওই টুইট…

Subhra Joardar

শারীরিকভাবে-প্রতিবন্ধী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শুভ্র জোয়াদারকে (Subhra Joardar) নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের এক টুইট ভিডিও প্রকাশ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি।

Advertisements

ওই টুইট ভিডিওতে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক শুভ্র জোয়াদারকে বলতে শোনা গিয়েছে ২০০৮ সালে বাইক দুর্ঘটনার পর কিভাবে তিনি বাইশ গজে ফিরে এসেছেন।কতটা কঠিন ছিল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে ফিরে আসার লড়াই।এই নিয়ে শুভ্র জোয়াদার বলেন,’দুর্ঘটনার তিনদিন পরে হুশ ফিরে যখন বুঝতে পারি পা বাদ গিয়েছে,ভীষণ ভাবে মুষড়ে পড়ি।শরীরের একটা অঙ্গ না থাকাটা একজন খেলোয়াড়ের কাছে বিশাল ধাক্কা,তা বলে বোঝানো যায় না।শুধু খেলোয়াড়ের ফিটনেসের দিক দিয়েই নয়,সাধারণ জীবনে ফিরে আসার লড়াইটাও খুবই চ্যালেঞ্জিং’।

Advertisements

ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে আজীবন ইস্টবেঙ্গল ভক্ত টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন বলেন,’যে সময়ে এই দুর্ঘটনা ওই সময়ে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার চূড়ান্ত ফর্মে ছিল।স্কুল-ক্লাব ক্রিকেট খেলে টানা তিন বছর সিএবি ডিভিশন খেলার সময় কেরিয়ারে দুর্দ্দান্ত মোড় আসে।শেষ বছর আমার পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল।ব্যাটে প্রচুর রান ছিল,ভালো জায়গাতে যাওয়ার সুযোগ ছিল আমার সামনে,টিমকে ইতিমধ্যেই কোয়াটার ফাইনালে তুলেছিলাম।ওই সময়ে এই দুর্ঘটনা। পরের মরসুমে কথা চলছিল ক্লাব দলে জয়েন নিয়ে,তার মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ছিল অন্যতম ক্রিকেট ক্লাব দল’। অধিনায়ক শুভ্র জোয়াদার বলতে থাকেন,’হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে আমার মাথায় একটাই চিন্তা ছিল এভাবে শুয়ে বসে জীবন কাটানো সম্ভব নয়,কিছু একটা আলাদা রকমের করতে হবে’।

নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ফিরে আসা নিয়ে জার্মান প্যারালম্পিয়ান হেনরিক পপোউ’র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই কিছু করার তাগিদ আর সময় দুই এর মেলবন্ধনে সুযোগ আসে ভারতে তখন একটা ওয়ার্কশপ করছিল জার্মানীর হয়ে প্যারালম্পিকে ১০০ মিটার সোনা জয়ী হেনরিক পপোউ। কোনও ভাবে আমার একটা ভিডিও তার কাছে পৌছায়।আমি ওই ওয়ার্কশপে ডাক পাই এবং যাই’।

শুভ্র জোয়ারদার বলেন,’ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময়ে সর্বভারতীয় স্তরে একটা টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ডাক পাই এবং ওই টুর্নামেন্টে ম্যান অফ ম্যাচ হয়েছিলাম।ওই সময়ে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দেশে একটা জায়গাতে এসে থমকে গিয়েছিল।টিমের দায়িত্ব পেয়ে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে টিম যায়।দেশে বিদেশে ভারতীয় টিম অনেক টুর্নামেন্ট খেলে,ধীরে ধীরে টিম ঘুরে দাঁড়ায়’।

‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন বলেন,’ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি সহ বেশ কয়েকটা রেকর্ড টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে আমার নামের সঙ্গে জুড়েছে’। আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক শুভ্র জোয়ারদার লাল হলুদ ফুটবলার আলভিটো ডি-কুনহার ভক্ত,আলভিটোর দুরন্ত ফ্রিকিক গোলপোস্টের পিছনে বসে দেখা জীবনে বাড়তি পাওনা এমনই ফুটবল নিয়ে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ বিভাগে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক শুভ্র জোয়ারদারের জীবন জুড়ে।