ভারতের প্রধান কোচ (Indian Football) ইগর স্টিমাচ জামশেদপুর এফসি মিডফিল্ডার ইমরান খানকে (Imran Khan) ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এবং এএফসি এশিয়ান কাপ সৌদি আরব ২০২৭ এর প্রাথমিক যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য বেছে নিয়েছেন। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ইমরান। জাতীয় শিবিরে ডাক পাওয়া তাঁর জন্য স্বপ্নপূরণের থেকে কোনও অংশে কম নয়।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করার পর তিনি সিনিয়র দলে ডাক পেয়েছেন। জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি ফুটবলারের কাছে স্বপ্ন। কঠিন পথ পেরিয়ে এসে জাতীয় শিবির। এই সফর প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেছেন, “ভাই আমাকে ফোন করে জানায় যে আমি জাতীয় দলে নির্বাচিত হয়েছি। আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুই সত্যি বলছিস?’ আমি ভেবেছিলাম এটা কোনও স্বপ্ন। আমি খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম। এই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখছিলাম অনেকদিন ধরে। ছোটবেলা থেকেই আমি ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামানোর স্বপ্ন দেখতাম।” AIFF.com-এর সঙ্গে সঙ্গে কথোপকথনের সময় ইমরান খান বলেছেন, ‘ওই মুহূর্তে আমার কেমন লেগেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”
𝐌𝐈𝐒𝐒𝐈𝐎𝐍 𝐎𝐍 💙🇮🇳
The #BlueTigers are up against Afghanistan in a crucial encounter at the Damac Stadium! 👊🏻🏟️
Watch #AFGIND LIVE only on @FanCode and @ddsportschannel 📺#FIFAWorldCupQualifiers 🏆 #IndianFootball ⚽️ pic.twitter.com/LoqCieycpy
— Indian Football Team (@IndianFootball) March 21, 2024
মণিপুরের পূর্ব জেলার কৈরাং মায়াই লেইকাই গ্রামে ইমরান খানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ফুটবল ওখানকার সংস্কৃতি। খেলাধুলার প্রতি ইমরানের ভালবাসা এবং অবশ্যই মায়ের সমর্থন তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
ইমরান জানিয়েছেন, “আমার মা রাস্তায় সবজি বিক্রি করতেন। ঠেলাগাড়িও ছিল না। মাটিতে বসে বিক্রি করতেন। আমার বয়স তখন প্রায় ১৩, মা-কে সাহায্য করার জন্য তাঁর সঙ্গে যেতাম। এভাবেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করতাম। সেই জায়গার পাশেই একটি ছোট মাঠ ছিল, বাচ্চারা খেলত। আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমিও খেলতে চাই কি না। এভাবেই আমার ফুটবল খেলা শুরু।”