তারক হেমব্রমের সুস্থতা কামনায় ‘বিস্ফোরক’ পোস্ট প্রীতম কোটালের

গত সোমবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল রেলওয়ে এফসি। উভয় দলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই…

Tarak Hembram Injury Sparks Controversy: Pritam Kotal Slams IFA’s Negligence

গত সোমবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল রেলওয়ে এফসি। উভয় দলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ফুটবল ম্যাচ। তাই প্রথম থেকেই লড়াকু মেজাজে দেখা গিয়েছিল উভয় দলের ফুটবলারদের। তবে মার্শাল কিস্কুর জোরালো ট্যাকেলের পর বদলে যায় সমস্ত কিছু। গুরুতর চোট পান প্রতিপক্ষ দলের দাপুটে ফুটবলার তারকা হেমব্রম (Tarak Hembram)। যারফলে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না বাংলার এই ফুটবলারের। যারফলে খেলোয়াড় বদল করতে বাধ্য হয় রেলওয়ে এফসি। এই পর্যন্ত সমস্ত কিছু স্বাভাবিক।

সমস্যার সূত্রপাত হয় তারক হেমব্রমের প্রাথমিক চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে। আসলেও এমন গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের ম্যাচে কোন চিকিৎসককে দেখা যায়নি প্রতিপক্ষ দলের তরফে। পরবর্তীতে বাগান চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। তাতেও দেখা যায় অভিনবত্ব। মূলত দুইটি ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয় তারকের পা। তারপর অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলার এই দাপুটে ফুটবলারকে। তাঁর পায়ের এই ব্যান্ডেজের ছবি রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে নেট মাধ্যমে। সেইসাথে বাংলার ফুটবল সংস্থার ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।

   

এই সমস্ত কিছু উল্লেখ করার পাশাপাশি তারক হেমব্রমের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে নেট মাধ্যমে বিশেষ পোস্ট করেন মোহনবাগানে প্রাক্তন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। তিনি লেখেন, ” তারক জলদি সুস্থ হয়ে মাঠ ফেরো।তোমার জন্য বাংলার ফুটবল অনুগামীরা অপেক্ষারত।আমরা বার বার কিছু ঘটনা ঘটার পর তৎপর হতে শুরু করি। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত আমরা সকলে নিরুতাপ কেন ! কেন আগে থেকে উপযুক্ত পরিকাঠামো করা হয় না , কেন প্রতিটা ম্যাচে ডাক্তার মাঠে উপস্থিত থাকে না কৈ সেই গুলো নিয়ে কেন খতিয়ে দেখা হয় না।”

Advertisements

পাশাপাশি রেল দলের প্রসঙ্গে ও তিনি বলেন, “ঠিক তেমন ই রেলওয়ের ডাক্তার ও টিমের সাথে ছিলো না কেন? থাকবে না কেন সেই গুলো নিয়ে ম্যাচের আগে দেখা হয় না এর উত্তর নেই । একটা ফুটবলারের দায়িত্ব যেমন দলের হয়ে ভালো খেলা ঠিক তেমনই দলের ও খেলোয়ারকে দেখার দায়িত্ব। কেন তাহলে টিম ডাক্তার দলের সাথে ছিলোনা আর কেনোই বা আইএফএ’র তরফ থেকে ডাক্তার ছিল না এবং তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ও কেউ ছিলেন না আমার জানা নেই । একটা ছেলে চোট পাওয়ার পর প্রায় ২৫-৩০ মিনিট মাঠে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তাও এতো গাফিলতি । অ্যাম্বুলেন্স আছে সে আবার বারাকপুরের বাইরে যাবে না এতো কিছুর পর আর কবে চোখ খুলবে আপনাদের। আজকের ঘটনা অনেক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো আমাদের বাংলার ফুটবলের দৈন্য দশার।”