অনুভব খাসনবীশ: দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman)। যিনি শুধু এশীয় পর্যায়ে পদক জেতার জন্য নয়, দু’পায়ে বারোটি আঙুল নিয়ে সবথেকে কঠিন ইভেন্ট হেপ্টাথলনে নামার জন্য পরিচিত সারা দেশে। তিন বছর আগেই জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনের মতো কঠিন ইভেন্টে ভারতকে সোনার পদক এনে দিয়েছিলেন তিনি। দু’বছর আগেই পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কারও।
![Swapna Barman](https://scontent.fccu2-1.fna.fbcdn.net/v/t39.30808-6/241455104_4251071131678572_7281758182111786576_n.jpg?_nc_cat=109&ccb=1-5&_nc_sid=0debeb&_nc_ohc=kvxq4nFmLi0AX9FKBfc&_nc_ht=scontent.fccu2-1.fna&oh=4da8ff5e7a21e742b36a22e359825e57&oe=61499566)
এবার আবার সোনা ঘরে তুললেন স্বপ্না। তেলেঙ্গানায় চলছে ৬০তম ন্যাশনাল ওপেন অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। তাতেই বাজিমাত বাংলার মেয়ের। হাইজাম্পে ১.৭৮ মি লাফিয়ে পেলেন সোনার মেডেল। চ্যাম্পিয়নশিপে শুধু স্বপ্নাই নয়, অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে অন্যান্য অ্যাথলিটরাও। কালই মহিলাদের ১৫০০ মিটারে নতুন রেকর্ড গড়েছেন পাঞ্জাবের হরমিলান কৌর।
আরও পড়ুন মাঠে দর্শকপ্রবেশে অনুমতি BCCI-এর, আইপিএলে আবার ফিরছে গ্যালারির চিৎকার
আরও পড়ুন দুবছর অন্তর বিশ্বকাপ চান বিশ্বকাপজয়ী রোনাল্ডো, আর্সেন ওয়েঙ্গার
জলপাইগুড়ির এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে স্বপ্নার এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস। স্বপ্নার বাবা পঞ্চানন বর্মন পেশায় ভ্যান চালক। অসুস্থতার জন্য গত সাতবছর ধরে তিনি শয্যাশায়ী। মা বাসনা বাড়ি বাড়ি কাজ করে ও চা বাগানে পাতা তুলে সামান্য টাকা রোজগার করেন।
![Swapna Barman](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/03/08/179560-s1.jpg)
স্বপ্নার পায়ের দু’ পাতায় ছ’টি করে আঙুল, ফলে ইভেন্টে পারফর্ম করার সময় প্রায়ই অসহ্য যন্ত্রণার শিকার হতেন তিনি। কিন্তু কোনও প্রতিবন্ধকতাই থামিয়ে দিতে পারেনি তাঁর অনমনীয় জেদ আর নাছোড় পরিশ্রমকে। এশিয়ান গেমসের হেপ্টাথলন ইভেন্টে সোনা জয়ী বাংলার স্বপ্না বর্মনকে সেই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাডিডাস। বিশেষভাবে কাস্টমাইজড জুতো তৈরি করেছে তাঁর জন্য।
Swapna Barman wins the high jump 1.78m pic.twitter.com/VLRJHZtcrv
— Anand Datla 🇮🇳 (@SportASmile) September 16, 2021
অ্যাথলেটিক্সের সবচেয়ে কঠিন ইভেন্ট বলা হয় হেপ্টাথলনকে। ট্র্যাক আর ফিল্ড মিলিয়ে মোট সাতটি ইভেন্টে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিযোগীকে। তাতে এবার স্বপ্নার পদক সংখ্যা বাড়ে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে স্বপ্নার অনুরাগীরা।