সুনীল গাভাস্কারের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ক্রিকেট মহলে

Sports desk: প্রায় চার বছর রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শাস্ত্রীর কোচিং’এ ভারতীয় দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছিল, ফিফটি-ফিফটি…

Sunil Gavaskar

Sports desk: প্রায় চার বছর রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শাস্ত্রীর কোচিং’এ ভারতীয় দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছিল, ফিফটি-ফিফটি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল, সামগ্রিক ফলাফল শতাংশেও প্রথম শ্রেণীর ছিল। কিন্তু শাস্ত্রী দলকে আইসিসি খেতাব দিতে পারেননি এবং এটাই বড় কারণ হয়ে ওঠে, আর এই ফলাফলের কারণেই রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলিকে নিজ নিজ পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। তবে শাস্ত্রীর কোচিং’এ সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী এক বেসরকারি স্পোর্টস চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন কিংবদন্তী ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।

গাভাস্কার শাস্ত্রীর কোচিং কেরিয়ার আলোকপাত করার সময় ঐতিহাসিক অস্ট্রেলিয়ান সিরিজের কথা স্মরণ করেন। যেখানে ভারতীয় দল অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর একটি অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করে এবং সিরিজের ফয়সালা হয় ২-১ তে। অ্যাডিলেড টেস্টের পর বিরাট কোহলি তার নবজাতক মেয়ের জন্মের কারণে ভারতে ফিরে আসেন, পরের দুটি টেস্টে ভারত অজিঙ্কা রাহানের অধিনায়কত্বে ইতিহাস তৈরি করে, যার অংশ না হতে পেরে বিরাট কোহলি সবসময় আফসোস করবেন।

   

ওই সাক্ষাৎকারের কথোপকথনে গাভাস্কার বলেন, অ্যাডিলেডে হারের পর দলকে উৎসাহিত করতে রবি শাস্ত্রী খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সানি বলেন, অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরে ভারত যেভাবে ফিরেছিল তা একটি উদাহরণ। এই পরাজয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব পড়ার কথা ছিল, খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একটা হতাশা ছিল এবং অবশ্যই হাল ছেড়ে দেওয়ার অনুভূতি ছিল। ঠিক এই অবস্থাতেই শাস্ত্রী বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ওই সাক্ষাৎকারে সুনীল গাভাস্কার বলেন, (অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরে) যেভাবে অজিঙ্কা রাহানে অধিনায়কত্ব করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, তাতে সবাই(ভারতীয় ক্রিকেট টিম) আবার উঠে দাঁড়ালেন। এই প্রসঙ্গে গাভাস্কার আরও বলেন, (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে) সফরে আমাদের দল ‘এ’ টিম নিয়ে খেলেছে। এটি একটি নিয়মিত দল ছিল না, তবে প্রতিটি খেলোয়াড় এবং রিজার্ভ খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত কাজ করেছে। এই জিনিসটা আবার বলে দেয় শাস্ত্রী কি ধরনের প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব ফেলেছেন তরুণ ও দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়দের মধ্যে।

ভারত এখন রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং’এ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন টেস্ট ম্যাচ এবং সম সংখ্যক ওডিআই সিরিজ খেলতে। গত রবিবার থেকে প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হয়েছে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে।

প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটার কারণে একটিও বল ডেলিভারি হয়নি ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে। ভারত টসে জিতে ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্কোর এখন ৩ উইকেটে ২৭২ রান। ক্রিজে রয়েছে ‘মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন’ কেএল রাহুল ১২২ এবং অজিঙ্কা রাহানে ৪০ রানে অপরাজিত। তৃতীয় দিনে বল গড়ায় কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে, কেননা আবহাওয়ার পূর্বাভাস ম্যাচের খুব একটা অনুকূলে নয়। আউটফিল্ড ভেজা, পিচ কভার করা রয়েছে।

এমন এক কন্ডিশনে কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের বিস্ফোরক বয়ান ক্রিকেট মহলে কতটা ঝড় তুলতে পারে তা সময়ই বলবে।