India vs Afghanistan: বাইরের দেশে খেলেই আফগানিস্তান ফুটবলারদের উন্নতি হয়েছে: ছেত্রী

গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান (India vs Afghanistan)। এর মধ্যে রয়েছে টানা তিনটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, দুটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও…

sunil chhetri said about India vs Afghanistan clash

গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান (India vs Afghanistan)। এর মধ্যে রয়েছে টানা তিনটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, দুটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও একটি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। আগামী দিনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামতে চলেছে ভারত। তার আগে পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)।

২০১৬ সালে আফগানিস্তান সাফ ছেড়ে যাওয়ার পরেও ভারত-আফগানিস্তান একের অন্যের মুখোমুখি হয়েছে একাধিকবার। ব্লু টাইগার্স এবং লায়ন্স অফ খোরাসান ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব এবং এবার ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের একই গ্রুপে রয়েছে।

এই মুহূর্তে আফগানিস্তান সম্পর্কে সুনীল ছেত্রীর চেয়ে ভালো আর কেউ বলতে পারবেন না। তিনি আফগানদের বিরুদ্ধে আটটি ম্যাচ খেলেছেন, চারটি গোল করেছেন। যার মধ্যে ২০২২ সালে কলকাতায় ফ্রি-কিক থেকে করা তাঁর গোলটি সম্ভবত সবচেয়ে দর্শনীয়।

সুনীল ছেত্রী বলেছেন, ‘প্রথমবার আফগানিস্তানের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে ওদের অনেক উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে তারা এগিয়েছে। আর একই অঞ্চলে থাকার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও তৈরি হয়। তাই খেলা বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। গত এক দশকে ভারত ও আফগানিস্তান উভয়েরই উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের বাইরের দেশে খেলার অভিজ্ঞতা আফগানিস্তানের উন্নতির অন্যতম কারণ।’

গত পাঁচ বছরে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও একধাপ ওপরে উঠেছিল। ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি খেলাতেই ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে হয়েছিল কড়া টক্কর। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাজিকিস্তানে অ্যাওয়ে ফিক্সচারে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। সৌজন্যে সিমিনলেন ডঙ্গেলের শেষ মুহুর্তের গোল।

তবে ছেত্রীর প্রিয় ভারত-আফগানিস্তান মুহূর্তটি ২০২২ সালের। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনেক নাটকীয়তার পরে ব্লু টাইগার্স ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নিশ্চিত করেছিল ভারত। ৮৫ মিনিটের ডেডলক ভেঙে শেষ পর্যন্ত ভারতকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে জুবায়ের আমিরি মাত্র দুই মিনিট পরেই সমতাসূচক গোলটি করেন। কিন্তু ৯১ মিনিটে ৪৪ হাজার দর্শকের সামনে ভারতের হয়ে জয় সূচক গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ।