Subhash Bhowmick : ‘তুমিই সেরা’, ‘প্রদীপদা’র পথে না ফেরার দেশে সুভাষ

অমৃতলোকে আগেই চলে গিয়েছেন প্রদীপ ব্যানার্জী। এবার পা বাড়ালেন তাঁর ছাত্র। ময়দানে আরও এক নক্ষত্রপতন (Subhash Bhowmick)। থেকে গেল কিছু স্মৃতি। কিছু কীর্তি৷ Advertisements এক…

Subhash Bhowmick

অমৃতলোকে আগেই চলে গিয়েছেন প্রদীপ ব্যানার্জী। এবার পা বাড়ালেন তাঁর ছাত্র। ময়দানে আরও এক নক্ষত্রপতন (Subhash Bhowmick)। থেকে গেল কিছু স্মৃতি। কিছু কীর্তি৷

Advertisements

এক সময় ফর্ম হারিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। মোহনবাগানে ছিলেন তখন। দল ছিটকে গিয়েছিল ডুরান্ড কাপ থেকে (১৯৭২ সাল)। হতাশ্য ডুবে ছিলেন সুভাষ।

   

মোহনবাগান ছেঁটে ফেলেছিল সুভাষ ভৌমিককে। ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। সুভাষের মনোবল তখন তলানিতে। এমন সময় হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রদীপ ব্যানার্জী। ময়দানের ‘প্রদীপদা’।

প্রদীপ ব্যানার্জীর হাত ধরে যেন পুনর্জন্ম হয়েছিল সুভাষ ভৌমিকের। যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলে। মাঠে নামলেন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লাল-হলুদের ৫ গোলে জয়, সে এক ইতিহাস৷ ১৯৭৫ সালের আইএফএ শিল্ড ফাইনালের সেই দিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সুরজিৎ সেনগুপ্ত এবং শ্যাম থামার গোলের পিছনে তিনিই ছিলেন অন্যতম কারিগর।

এক স্মৃতি চারণায় সুভাষ বলেছিলেন, “ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। এরপর মোহনবাগান আমাকে আর রাখেনি। প্রদীপদাই সেই ব্যক্তি যিনি আমাকে হতাশার অন্ধকার থেকে তুলে এনেছিলেন। বলেছিলেন, ‘তুমিই ভারতের সেরা ফুটবলার। এসো, ইস্টবেঙ্গলের হয় খেলবে চলো’।”

স্ট্রাইকার হিসেবে সুভাষ ভৌমিকের পরিসংখ্যান যে কোনো তারকার কাছে ঈর্ষণীয়। খেলেছিলেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলে। মোহনবাগানে খেলেছিলেন দুই দফায়, ইস্টবেঙ্গলে তিন দফায়। লাল-হলুদ জার্সিতে খেলেছিলেন ২১৩ টি ম্যাচ। করেছিলেন ১৬৫ টি। সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলেছিলেন ৯০ টি ম্যাচ। গোল করেছিলেন ৮৫ টি। ভারতের হয়ে জাতীয় দলে ৬৯ ম্যাচে করেছিলেন ৫০ টি গোল।