গত ফুটবল মরশুমের শুরুটা যথেষ্ট ভালো হলে শেষের দিকটা খুব একটা জমাতে পারেনি সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম দিকে ডুরান্ড কাপে চূড়ান্ত সফলতা আসলেও পরবর্তী সময়ে হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ একটু জন্য ফসকে গিয়েছে তাদের হাত থেকে।
আসলে ডুরান্ডের ধারা বজায় রাখার পরিকল্পনা নিয়ে আইএসএল শুরু করলেও প্রথম দিকে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে যেতে হয় তাদের। একের পর এক ম্যাচ হারার ফলে লিগ টেবিলের একেবারে শেষের দিকে চলে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এমনকি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের কাছেও দুবার পরাজিত হতে হয় তাদের কে। কিন্তু আইএসএলের পরবর্তী লেগ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দল। শেষ পর্যন্ত মুম্বাই সিটি কে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এটিকে মোহনবাগানের কাছে ট্রাইবেকারে হারার দরুন আইএসএল হাতছাড়া হয়ে যায় সুনীল-সন্দেশদের।
তবে এখানেই শেষ নয়। আইএসএলের হতাশা ভুলে সুপার কাপে নতুনভাবে শুরু করে সাইমনের বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে টুর্নামেন্টে আধিপত্য বজায় রাখে এএফসি কাপের ফাইনাল খেলা এই দল। তবে এখানেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফাইনাল ম্যাচে ওডিশা এফসির নন্দকুমার শেখর ও দিয়াগো মিরিসিও দের দাপটের সামনে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় প্রবীরদের। যারফলে, গুরপ্রীতদের হাতের সামনে থেকে কাপ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওডিশা। তবে এখন আর সেসব মনে করতে চাননা দলের ফুটবলাররা। নিজেদের খামতি মিটিয়ে এখন আগামী মরশুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চায় দল।
তাছাড়া, আগামী মরশুমের কথা চিন্তা করে অনেক থেকেই দলের খেলোয়াড় বাছাই করার কাজ শুরু করে দিয়েছে বেঙ্গালুরু ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো আইএসএল শেষ হওয়ার পরই হায়দরাবাদ এফসি থেকে রোহিত দানুকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এছাড়াও একাধিক খেলোয়াড়দের দিকে নজর ছিল তাদের।
এবার তাদের মধ্যেই এবার হায়দরাবাদ এফসি দলের আরেক তারকা ফুটবলার হোলিচরন নার্জারি কে দলে টেনে নিল জিন্দালের এই ক্লাব। গত মরশুমে হায়দরাবাদের জার্সিতে মিডফিল্ড সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এবার আগামী মরশুমের জন্য তার উপরেই ভরসা রাখল সাইমন ব্রিগেড।