Sports News : ঘোর কাটছে না ফুটবল প্রেমীদের। জর্ডনের বিরুদ্ধে মণীষা কল্যাণের (Manisha Kalyan) দুরন্ত গোল এখনও ভাসছে চোখের সামনে। পাঞ্জাবের গ্রাম থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারের উত্থান কাহিনী তরুণ তরুণীদের কাছে হতে পরে অনুপ্রেরণার উৎস।
মণীষার জন্ম পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তাঁর বাবা। গ্রামে ছোটো একটা দোকানে বসতেন নিয়মিত। কসমেটিক্সের দোকান।
খেলাধূলার প্রতি ছোটো থেকেই আগ্রহ ছিল কল্যাণীর। তেরো বছর বয়স থেকে চষে বেড়িয়েছেন মাঠ। তবে ফুটবল খেলতেন না তখন। অ্যাথেলেটিক্স হিসেবে শুরু করেছিলেন প্রশিক্ষণ। পরে তাঁকে ফুটবল মাঠের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন স্কুলের কোচ ব্রাহ্ম। এক সাক্ষাৎকারে মণীষা বলেছিলেন, ‘ স্কুলের টিমে অ্যাথেলেটিক্স হিসেবে শুরু করেছিলাম। পরে ব্রাহ্ম স্যার আমাকে ফুটবল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
ছেলেদের ফুটবল খেলতে দেখতেন মণীষা। আগ্রহ তৈরি হয়েছিল অল্প বয়স থেকে। ছাত্রীর প্রতিভা চিনিতে ভুল করেননি স্যার।
ভারতের অনূর্ধ্ব ১৭ ও ১৯ দলে জায়গা পেতে অসুবিধা হয়নি পাঞ্জাব তনয়ার। ২০১৯ এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা বিভাগের চ্যাম্পিয়নশিপে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নাম। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিনিয়র পর্যায়ের জাতীয় দলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
কুড়ি বছর বয়সী মণীষা কল্যাণ ক্লাব ফুটবলেও দুরন্ত। গোকুলাম কেরালা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। লিওনেল মেসির এই ভক্তর পায়ের কাজে ধরাশায়ী হচ্ছে বাঘা বাঘা প্রতিপক্ষ। মিশরের পর জর্ডনের বিরুদ্ধেও জয় পেয়েছে ভারত। সুদর্শন গোল করেছেন মণীষা।