পোগবার চোট নিয়ে বড় আপডেট সামনে এল

বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিস্টন কোলাসো ৩৫ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে যায় ATKমোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেয়েও…

Florentin Pogba

বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিস্টন কোলাসো ৩৫ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে যায় ATKমোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার মাঝে ৮১ মিনিটে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির ডিফেন্ডার অ্যারন ইভান্স কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেড করে গোল শোধ করেন। ৮৯ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি পেট্রাটোস ভলিতে অসাধারণ হেড করে টিমকে জয় এনে দেন শুভাশিস বোস।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ATK মোহনবাগান হেডকোচ হুয়ান ফেরান্দোকে বাগান ডিফেন্ডার ফ্লোরেন্টিন পোগবার (Florentin Pogba) ইনজুরি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বলেন,” পোগবা ক্রমশ সেরে উঠছে। প্রয়োজনে ওকে মাঠে নামানো যেতে পারে। কিন্তু অযথা ওকে মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে চাই না। মাঝে মাঝে দলের খেলোয়াড়দের রক্ষা করাটা আমাদের কর্তব্য। পোগবার গোড়ালিতে চোট রয়েছে। কোনও জোরালো অ্যাকশনের পরে ওর ব্যাথা হচ্ছিল। ডাক্তাররা এখন দেখছেন। ধাপে ধাপে ও সম্পুর্ণ অনেকটা সেরে উঠেছে। দলের সঙ্গে থাকছে। মজা করছে। ড্রেসিং রুমে এসে দলের সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। “

টিমের খেলোয়াড়দের চোট প্রসঙ্গে হুয়ান ফেরান্দো সাংবাদিকদের আরও জানিয়েছেন, “কেরালা-ম্যাচের পরে কার্লের (ম্যাকহিউ) কিছু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় অতটা গুরুতর নয়। আসলে পায়ে, কোমরে যে কোনও চোট হলে তা সময় নিয়ে সারিয়ে তোলাই উচিত, না হলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা দেখা যেতে পারে। “

টুর্নামেন্টে বল যত গড়াবে তত বেশি করে খেলোয়াড়দের ইনজুরি ইস্যু সামনে আসবে।সবুজ মেরুন ব্রিগেডের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এফসির আজ অর্থাৎ শুক্রবার ম্যাচ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। এই ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল শিবির যেন মিনি হাসপাতাল হয়ে উঠেছে।লিমা,অঙ্কিত যাদবের চোট তাই সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছে।সৌভিক চক্রবর্তী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি,তাই স্কোয়াডে নেই।আর সার্থক গোলুই চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে দুটো হলুদ কার্ড দেখায় বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে খেলতে পারবে না।

ইনজুরি সমস্যা থেকে খেলোয়াড়দের মুক্ত করার জন্য এখন প্রত্যেক দলে ফিজিও টিম থাকে।খেলোয়াড়দের টুর্নামেন্ট চলাকালীন চোট মুক্ত করে মাঠে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ গিয়ে পড়ে এই ফিজিও টিমের ওপর। পেশাদার ফুটবল এবং ফুটবলারেরাও নিজেদের ইনজুরি ইস্যুতে সকল সময়ে সতর্ক থাকে,যাতে তারা স্কোয়াড থেকে ছিটকে না পড়ে।আর যখন এই ইনজুরি সমস্যা মাথাচাড়া দেয় তখন টিমগুলো এক একটা মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়।