গত এপ্রিল মাসে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দলের দায়িত্ব। এরপর থেকে তার কথা মতোই নতুন করে সেজে উঠেছে লাল-হলুদের (East Bengal) বিদেশি ব্রিগেড। এক্ষেত্রে গত মরশুমে দলের হয়ে খেলা ক্লেটন সিলভাকে রাখা হলেও জ্যাক জার্ভিস থেকে শুরু করে জর্ডন দোহার্টির মতো ফুটবলারদের রিলিজ করে দেয় ময়দানের এই প্রধান। তার পরিবর্তে কুয়াদ্রাতের পছন্দ মতো হায়দরাবাদ এফসির দুই তারকা ফুটবলার বোরহা হেরেরা ও জাভিয়ের সিভেরিওকে দলে সই করায় ইস্টবেঙ্গল।
পাশাপাশি ওডিশা এফসির প্রাক্তন তারকা সাউল ক্রেসপো সহ বিদেশ থেকে দুই বিদেশি ডিফেন্ডারকে দলে টানে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। আইএসএলের মতো ফুটবল টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করে এগোনো হলেও এবারের ডুরান্ড কাপেও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ট্রফি নিজেদের ঘরে না এলেও ফাইনালে উঠে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল মোহনবাগানের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও ডার্বি ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ময়দানের এই প্রধান। শক্তিশালী মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে নিজেদের হারানো ছন্দে ফেরে মশাল ব্রিগেড। তারপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে স্থান করে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
তারপর কোয়ার্টার ফাইনালে আইলিগ জয়ী গোকুলাম কেরালা দলের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে গোকুলাম ফুটবলারদের যথেষ্ট লড়াকু মেজাজে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড। সেখান থেকে সোজা সেমিফাইনাল।যেখানে তাদের লড়াই করতে হয় আইএসএলের অন্যতম দল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে প্রথমদিকে পিছিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে সমতায় ফিরে ট্রাইবেকারে জয় তুলে নেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অপরাজিত ভাবে ডুরান্ড ফাইনালে উঠলেও শেষ হাসি হাসে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। অন্যদিকে হতাশার ছবি লাল-হলুদে। তবে শুধু ফাইনালে পরাজয় নয়, গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে ওঠে অজি তারকা জর্ডন এলসির চোট। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে এবারের আইএসএলের প্রথম লেগে আর হয়ত খেলতে পারবেন না তিনি। যা নিয়ে হতাশ দলের সমর্থকরা। এসবের মাঝেই এবার লাল-হলুদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্প্যানিশ তারকা গ্যাব্রিয়েল ইফিও। নয়া মরশুমের জন্য এবার রিহ্যাব স্পেশালিস্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বছর চব্বিশের এই তারকা। মূলত ফুটবলারদের ফিট করে তোলাই অন্যতম লক্ষ ইফিওর।