Hyderabad FC: কেরালার বিপক্ষে বিশ্বমানের গোল, দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বললেন চেম্বাকাথ ?

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত বুধবার আইএসএলের শেষ হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল থেক্কাথারা পুরুষোথামণের শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের…

Shameel Chembakath

short-samachar

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত বুধবার আইএসএলের শেষ হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল থেক্কাথারা পুরুষোথামণের শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। একটা সময় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব এগিয়ে থাকলেও সেটা বজায় থাকেনি শেষ পর্যন্ত। প্রথমার্ধের শেষের দিকেই সমতায় ফিরে আসে নিজামের শহরের এই ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি দলের সকল সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। গত দুইটি ম্যাচের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরে যথেষ্ট খুশি হায়দরাবাদ দলের ফুটবলাররা।

   

অন্যদিকে গোয়া ম্যাচের হতাশা ভুলে শেষ তিনটি ম্যাচ অপরাজিত থেকেই আইএসএলের অভিযান শেষ করল কেরালা। বলাবাহুল্য, গত জামশেদপুর ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার দরুন সুপার সিক্সের লড়াইয়ের থেকে দল ছিটকে গেলে ও নিয়মরক্ষার ম্যাচ গুলিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ ছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ। বিশেষ করে সুপার কাপের মতো টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে বাকি ম্যাচ গুলিকে মূলত দলের অনুশীলন হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন থেক্কাথারা পুরুষোথামণ। সেইমতো একাদশ সাজিয়েছিলেন তিনি। যার প্রভাব দেখা গিয়েছিল ম্যাচের মধ্যে।

Also Read | কেরালার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে শেষ করল হায়দরাবাদ, নবম স্থানে ইস্টবেঙ্গল 

প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণের এই ফুটবল দলকে‌। স্বাভাবিকভাবেই গোল তুলে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ডুসান ল্যাগেটরের পক্ষে। তবে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে কেরালার রক্ষণভাগে ঢুকে বিশ্বমানের শট নিয়ে গোল করে যান সৌরভ কে। দ্বিতীয়ার্ধে আর ও বেশ কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ এসে গিয়েছিল নিজামের শহরের এই ফুটবল দলের কাছে। যদিও সেগুলি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। নাহলে অনায়াসেই জয় ছিনিয়ে নিতে পারত হায়দরাবাদ এফসি। তবুও দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি শামিল চেম্বাকাথ।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এটি অন্যতম কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে একটি ছিল। প্রথমদিকেই আমরা একটি গোল হজম করেছিলাম। কিন্তু তারপর থেকেই রক্ষণভাগের পাশাপাশি ছেলেরা আক্রমণভাগে জোর দেয়। বলতে গেলে প্রথম পনের থেকে কুড়ি মিনিটের পরে আমরা খেলাটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমি মনে করি আমাদের ছেলেরা যে পেনাল্টি টা পেয়েছিল যদি সেটা রূপান্তর করা যেত তাহলে আমরা তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারতাম ‌। তবে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে‌। নিজেদের ভুলভ্রান্তি শুধরে নিতে হবে। বিশেষ করে সুপার কাপ খেলতে যাওয়ার আগে এই ম্যাচ গুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।”