পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করলেও প্রতিবেশী ভারতের মাঠে খেলতে এসে ‘খানিক’ দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চেন্নাই টেস্টে বল হাতে প্রথম ইনিংসে কিছুটা আশা জোগালেও ব্যাট করতে নেমে দুই ইনিংসেই প্রবল ব্যর্থতার ছায়া ফুটে উঠেছে বাংলাদেশি ক্রিকেট শিবিরে। একমাত্র অধিনায়ক শান্ত বাদ দিয়ে কেউই বড় মাপের রান করতে পারেননি। অধিনায়ক শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা রানের মধ্যে থাকলেও প্রথম টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাই এই মুহূর্তে মাঠের পারফরম্যান্স ও মাঠের বাইরের নানা সমস্যার কারণে সাকিবকে (Shakib Al Hasan) নাকি একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত এবং বাংলাদেশের ফিটনেস কোচ হান্নান দুজনকে একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
গতকাল চেন্নাইয়ে টেস্ট হারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধিনায়ক শান্ত এবং দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম। সেখানে ম্যাচ সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্বের পর এক সাংবাদিক সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়ে কানপুর টেস্ট খেলার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তের সামনে। এদিন সাংবাদিকের করা প্রশ্নটা শুনে নাজমুল নিজেকে সামলে নিতে কয়েক মুহূর্ত সময় নেন। তারপর তিনি বলেন, ” অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। আর সাকিব ভাই আপনারা সকলেই জানেন একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। সুতরাং সঠিক সময়ে নিজের কাজটি তিনি ঠিকভাবেই করে দেবেন। “
১৬ মিনিটেই খেলা শেষ! বল হাতে ‘নিউজিল্যান্ড’বধের নায়ক জয়সুরিয়া
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সমন্বয় আঙুলে চোট পান বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার। ভারতের প্রধান পেসার জাসপ্রিত বুমরার বল অফসাইডে খেলতে গিয়ে হাতের বুড়ো আঙুলেই নাকি চোট লাগে সাকিবের। আজ বল ধরতে গিয়েও নাকি আঙুলে ব্যাথা লাগে সাকিবের। তিনি এখন বাংলাদেশ দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলামের পর্যবেক্ষণে আছেন। কানপুরে দলের অনুশীলনের পর সাকিবকে পরের টেস্টে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। এদিন দলের ফিজিও সাংবাদিকদের বলেন,”সাকিব আসলে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। এটা আমাদের বলতেই হবে। সাকিব যদি একাদশে থাকে, তাহলে কম্বিনেশন সাজানো সহজ হয়। তাই নিয়ে ম্যাচে যাওয়ার আগে আমাদের সবসময় চিন্তা করে নিতে হয়। পরের ম্যাচের আগে আমাদের সেই চিন্তার সময় আছে। আমরা দেখব তাঁর কী অবস্থা। আমরা জানি যে সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটা কিন্তু ম্যাচের আগে ছিল না। তাই নানা ভাবে এই কথার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে মিডিয়ার মাধ্যমে।”
তবে এই মুহূর্তে সাকিবের (Shakib Al Hasan) চোট খুব একটা সিরিয়াস নয় বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও। এদিন তিনি আরো বলেন, ” আপনি সরাসরি চোট বলতে পারবেন না। কিছু ছোট ছোট ব্যাপার থাকে, যে আঙুলটায় অসুবিধা হয়েছিল, সেটা ম্যাচের আগে সে ফিল করতে পারেনি। বোলিং করা শুরু করার পর ফিল করেছে। সেই আঙুলে আবার বল লেগেছে। সেদিক থেকে কিছুটা তো ব্যথা রয়েছে। তবে এটা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোনো কারণ নেই।”