ঘরের দেয়ালে জ্বলজ্বল করছে ‘হত্যাকারীর দালাল’ লেখা হুঁশিয়ারি। বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা (Shakib Al Hasan) সাকিব আল হাসান ভীত। তিনি নিজের দেশে আর ফিরতেই চান না। ফলে ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ তাঁর না খেলা একরকম নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত আগস্ট মাসে সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভের সময় তিনি দমন নীতির সমর্থন করেছিলেন। ঢাকায় এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মারার ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে সাকিবের নাম আছে। গত জাতীয় নির্বাচনে সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ঘনিষ্ঠ।
তবে গত জুলাই আগস্ট মাসে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। সাকিব দেশে ফেরেননি। ঘরের মাটিতে দেশের মানুষের সামনে বিদায়ী টেস্ট খেলতে আমেরিকা থেকে রওনা হয়েছিলেন সাকিব। ফেরার পথে দুবাইয়ে এসে যাত্রার বিরতি দেন সাকিব। জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার কারণে তিনি শঙ্কিত কথা বিবেচনায় রেখে তার ঢাকায় আগমন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
যদিও এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা থাকবে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই মূলত সাকিবের দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসিসি বৈঠকে অংশ নিতে দুবাই গিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। তাঁর সঙ্গে সাকিবের বৈঠক হয়েছে সেখানেই। দুবাইয়ে থামতে বলা হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, গত ১০ই অক্টোবর মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন বেশকিছু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। সেখানে তারা দুই নম্বর গেটে সাকিবের ছবি টানিয়ে জুতাপেটা করেন। পরে স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন তারা। মিরপুরবাসী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ভোট চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং স্বৈরাচারের দোসর সাকিব যে কি না দেশবাসীর ক্রান্তিলগ্নে বিদেশের মাটিতে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছিল, সে আর কোনোদিন যেন বাংলাদেশের জার্সি না গায়ে দেয় এবং মিরপুর মাঠে না আসে।