আসন্ন সুপার কাপ পর্যন্ত লাল-হলুদ (East Bengal) কোচের দায়িত্বে থাকবেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। তারপরেই দল থেকে ছেটে ফেলা হবে এই ব্রিটিশ কোচকে। সেকথা বর্তমানে সকলেই জানে। কিন্তু প্রশ্ন হল আগামী মরশুমের জন্য কাকে দায়িত্ব দিতে চলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ? তা নিয়ে এখনো রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা।
এবারের হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর থেকেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেন কর্তারা। আগামী মরশুমে দল কে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে গত ২৩ মার্চ ইমামির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্লাব কর্তারা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী বছরের জন্য নতুন কোচ আনবে ইস্টবেঙ্গল। সেই কোচের পছন্দ মতোই দল তৈরি করা হবে। সেইমতো ইমামি কর্তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী পনেরো দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে নতুন কোচের নাম।
এক্ষেত্রে ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের উইশ লিস্টে নাকি রয়েছে সার্জিও লোবেরা ও অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের মতো একাধিক হাই প্রোফাইল নাম। যাদের সঙ্গে নাকি কথাবার্তা শুরু করা হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে। তবে এই কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওডিশা এফসির প্রাক্তন কোচ জোসেফ গাম্বাউয়ের নাম সবার আগে উঠে আসলেও বর্তমানে অনেকটাই ব্যাকফুটে তিনি। পূর্বে বার্সেলোনার মতো দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও তার স্বভাব নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল সাবেক কর্তাদের। আসলে প্রচন্ড রগচটা স্বভাবের কোচ এই গাম্বাউ। অতীতে নাকি দলের ফুটবলার কে চড় মারার পাশাপাশি বিমান বন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই ইমামি ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় বৈঠকের পরে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় তার নাম।
বর্তমানে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস ও সার্জিও লোবেরার পাশাপাশি আরেক স্প্যানিশ কোচের নাম উঠে আসছে কলকাতা ময়দানে। তিনি হোসে মোলিনা। আতলেতিকো মাদ্রিদের এই জনপ্রিয় তারকা গত ২০১৬ সালেই এটিকে দলকে এনে দিয়েছিলেন আইএসএল। এছাড়াও গত ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের ভরাডুবির পর স্প্যানিশ ফুটবলের স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে ও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তাকেই নাকি ভাবছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। আসলে হাবাস কে দলের জন্য উপযুক্ত মনে করা হলেও তার বয়সের পাশাপাশি গত দেড় বছর ফুটবলের সংস্পর্শে না থাকা নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তবে শেষ পর্যন্ত কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার।