নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক, পৃথিবীর সবচেয়ে সন্মানজনক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। যেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারাটাই গৌরবের। সাফল্য না আসলেও তাতে প্রতিবারই অংশ নেয় বিশ্বের বহু দেশ। সেরকমই একটি দেশ সান মারিনো, পৃথিবীর পঞ্চম ক্ষুদ্রতম দেশ। ইতালির অভ্যন্তরেই ছোট্ট একখণ্ড স্বতন্ত্র দেশ। চারিদিক ঘেরা ভূভাগেই। আয়তন ২৪ বর্গমাইল। জনসংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক থেকে প্রতিবারই অলিম্পিকে দল পাঠিয়েছে এই দেশ। কিন্তু এতদিন তাদের প্রাপ্তির ঝুলি ছিল শূন্য, প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে প্রতিযোগীদের।
আরও পড়ুন অভাবের সংসার: পার্কিং অ্যাটেনডেন্টের কাজ করছেন বক্সিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রিতু
সান মারিনোর সেই পদক খরা অবশ্য এবছর কেটেছে, টোকিও অলিম্পিক থেকে এবছর তাদের প্রাপ্তি একটি রুপো এবং দুটি ব্রোঞ্জ। অংশগ্রহনকারী দেশগুলির মধ্যে পদকতালিকায় ৭২ নম্বরে শেষ করেছে তারা। যদিও তিনটি পদকপ্রাপ্তির কৃতিত্ব অন্য জায়গায়। চলতি অলিম্পিকে এবার সান মারিনো থেকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন মাত্র ৫ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে বাজিমাত করেছে তিন জন।
চলতি অলিম্পিকের শুরুতেই সান মারিনোর মহিলা শুটার আলেসান্দ্রা পেরিলি পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ পদক। এরপরে শ্যুটিংয়ের মিক্সড ইভেন্টেও জিয়ান মার্কো বের্তির সঙ্গে জোট বেঁধে রুপোর পদক পান আলেসান্দ্রা। এর আগে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক ও ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকেও দারুণ লড়াই করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুটি অলিম্পিকেই অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয় তাঁর, দু’বারই চতুর্থ স্থানে অলিম্পিক অভিযান শেষ করেন তিনি। এবার শুধু সাফল্যই আসেনি, পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে অলিম্পিকের পদকপ্রাপ্তির তালিকায় দেশের নাম তুলে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন মাইলস অ্যামিন।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বহু দেশই এ বছর অলিম্পিকের মঞ্চে হাজির হয়েছিল বিরাট দল নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আয়োজক দেশ জাপানের কথা বাদ দিলে, বাকিদের সাফল্য তেমন আসেনি। সেখানে মাত্র ৫ জন প্রতিযোগী নিয়ে ৩টি পদক-জয় সত্যিই ঐতিহাসিক। সান মারিনোর এই কীর্তিই এখন গোটা বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।