ভারতীয় ফুটবলে রয় কৃষ্ণার (Roy Krishna) কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা সময় এটিকে দলে যোগদান করার মধ্য দিয়ে ভারতে আগমন ঘটেছিল ফিজির এই ফরোয়ার্ডের। তারপর ম্যাচ যত এগিয়েছে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের নয়নের মনি হয়ে ওঠে ছিলেন তিনি। বলতে গেলে যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন সর্বদা। গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের গোল করানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই তারকার। সময় বদলে মোহনবাগানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ ঘটে এটিকের। সেবারও যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল রয় কৃষ্ণকে।
কলকাতার বুকে ট্রফি জয়ের স্বাদ গ্ৰহনের পর অন্যত্র চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যোগদান করেছিলেন সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসিতে। সেখানে ও নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে গিয়েছেন সর্বদা। আইএসএল ফাইনালে তাঁর বিষ হেডেই এগিয়ে গিয়েছিল দল। নিজের দলকে সমতায় ফেরানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই হাইপ্রোফাইল তারকার। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল ফাইনাল। কিন্তু শেষ কয়েক মরসুম ধরেই জগন্নাথের রাজ্যের ফুটবল ক্লাব তথা ওডিশা এফসির জার্সিতে খেলছিলেন সাঁইত্রিশ বছরের এই ফুটবলার। তবে বয়স বাড়লে ও উপযুক্ত সময়ে তিনি যে জ্বলে উঠতে পারেন সেটা প্রমাণ করেছেন একাধিকবার।
কিন্তু ছন্দপতন হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। এসিএল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে গোটা সিজনের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল দলের এই ভরসাযোগ্য ফরোয়ার্ডকে। তাঁর অনুপস্থিতি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল দলের আক্রমণভাগে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন মরসুমে আদৌ তাকে দলে রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল জোর বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয় জগন্নাথের রাজ্যের ফুটবল ক্লাব। কিন্তু সময় এগোনোর সাথে সাথেই এই ফুটবলারকে নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া ফুটবল মরসুমে ফিজির এই গোলমেশিনকে নাকি দলে নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করেছে মাল্লাপুরম এফসি।
সেটাই হল এবার। অবশেষে আজ অর্থাৎ ৮ই সেপ্টেম্বর দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবে সই করে ফেলেছেন তিনি। আপাতত হয়তো একটি মরসুমের চুক্তিতে তাঁকে দলে টেনেছে মাল্লা পুরণ এফসি। তবে পরবর্তীতে আইএসএল জয়ী এই ফুটবলারের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।