গত মরসুমের শুরুতে খুব একটা ভালো ছন্দে ছিল না ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে অস্কার ব্রুজন দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল মশাল ব্রিগেড। দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের টানা ছয়টি ম্যাচের পরাজয় ভুলে জয়ের সরণিতে ফিরেছিল ময়দানের এই প্রধান। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইএসএলে ও জয়ের মুখ দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেই ছন্দ। ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই বদলাতে শুরু করে গোটা পরিস্থিতি। চোটের সমস্যা যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দলকে।
মাদিহ তালাল হোক কিংবা সাউল ক্রেসপো একের পর এক ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল দলের একাধিক ভরসাযোগ্য ফুটবলারকে। শুধুমাত্র বিদেশি ফুটবলার নয়। একই পরিস্থিতি দেখা দেয় দেশীয় ফুটবলারদের ক্ষেত্রে। এমন পরিস্থিতিতে উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে ভেনেজুয়েলার তারকা ফরোয়ার্ড রিচার্ড সেলিসকে (Richard Celis) দলে নিয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। তারপর প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেলিসের স্কিল ফুল ফুটবল সহজেই মন জয় করেছিল সমর্থকদের।
কিন্তু সেইসব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আইএসএলের মাস্ট উইন ম্যাচে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল মশাল ব্রিগেড। যারফলে অনায়াসেই সুপার সিক্সের লড়াই থেকে সম্পূর্ণ ছিটকে যায় দল। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সমর্থকরা। পরবর্তীতে অন্যান্য টুর্নামেন্ট গুলিতে ভালো ফলাফল করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। যারফলে ট্রফিহীন ভাবেই শেষ হয়েছে সিজন। তবে এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছাতে বদ্ধপরিকর ময়দানের এই প্রধান। সেক্ষেত্রে বেশকিছু বদল করার পরিকল্পনা ছিল দলের অন্দরে। সেই অনুযায়ী গত সপ্তাহেই রিচার্ড সেলিসকে বিদায় জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
সেই নিয়ে কিছুটা হলেও দ্বিমত রয়েছে সমর্থকদের একাংশের মধ্যে। তবে এবার ভারত ছেড়ে ইকুয়েডরের এক প্রথম ডিভিশন ক্লাবে যোগদান করলেন ভেনিজুয়েলার এই তারকা ফরোয়ার্ড। নয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ক্লাব দেপোর্টিভো টেকনিকো সিটিরিওর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বছর ঊনত্রিশের এই তারকা। গত সিজনের হতাশা ভুলে এবার নিজের ফর্ম ফেরানোই অন্যতম লক্ষ্য সেলিসের।