Subhash Bhowmick : সুভাষ ভৌমিকের ক্রস, গোওওওওওল…..

মোহনবাগান মাঠ। কমেন্ট্রিতে জয়ন্ত চক্রবর্তী। কানায় কানায় ভর্তি স্টেডিয়াম। টিকিট না পেয়ে অগুনতি মানুষ মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে। চিরাচরিত ডার্বির সম্প্রচার ঘরে ঘরে রেডিওতে। বাঁশি বাজালেন…

Subhash Bhowmick

মোহনবাগান মাঠ। কমেন্ট্রিতে জয়ন্ত চক্রবর্তী। কানায় কানায় ভর্তি স্টেডিয়াম। টিকিট না পেয়ে অগুনতি মানুষ মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে। চিরাচরিত ডার্বির সম্প্রচার ঘরে ঘরে রেডিওতে। বাঁশি বাজালেন ম্যাচের রাফারি বাবুল বার্মিজ- খেলা শুরু।

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মাঠে সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)। প্রদীপ ব্যানার্জী কোচ। ভোকাল টনিক দিয়ে তাতিয়ে দিয়েছিলেন ছেলেদের। তাতিয়ে দিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিককে। ‘প্রদীপদার’ কথায় বদলে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বুকেও তখন জ্বলছিল মশাল। এই মোহনবাগান ক্লাবই বের করে দিয়েছিল তাঁকে। ঠেলে দিয়েছিল হতাশার অন্ধকারে। আলো জ্বেলে দিয়েছিলেন প্রদীপ ব্যানার্জী। দেখিয়ে দেওয়ার ম্যাচ- তুমিই তো দেশের সেরা ফুটবলার।

ম্যাচের বয়স মাত্র ৫ মিনিট। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েছিল এক গোলের ব্যবধানে। প্রথম গোল সুরজিৎ সেনগুপ্তর। ৪-২-৪ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণভাগে সুরজিৎ সেনগুপ্ত, সুভাষ ভৌমিক, রঞ্জিত মুখার্জী এবং শ্যাম থাপা। ১৯৭৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্ড ফাইনালে এক অনন্য নজির নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অপরাজেয় ডার্বি ম্যাচে।

ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু সুভাষ ভৌমিকদের মুহুর্মুহু চাপের মুখে দানা বাঁধছিল না তাদের খেলা। প্রথম গোলের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগে আরও এক গোলার সামনে পালতোলা নৌকা। মাঝমাঠের লড়াই জিতে ফের আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল। ১১ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্সে ফাউল শ্যাম থাপাকে। পেনাল্টি। স্পট কিক নিতে তৈরি তিনি। কিন্তু বল চলে গিয়েছিল বার উঁচিয়ে।

ফের আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল। শ্যাম থাপা বল বাড়িয়ে দিয়েছেন সুভাষ ভৌমিককে। সুভাষের সুন্দর ক্রস। বলের নাগাল পেলেন না ভাস্কর গাঙ্গুলি। বল পেলেন শ্যাম থাপা…গোওওওওল। ০-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।

বল ফের শ্যাম থাপার পায়ে। সেখান থেকে সুরজিৎ সেনগুপ্তর কাছে। নিজেদের মধ্যে কিছু পাশ খেলে নিলেন দু’জনে। সেখান থেকে বল পেলেন সুভাষ ভৌমিক। তিনি বল পাশ করলেন রঞ্জিত মুখার্জীকে। নিমাই গোস্বামীকে টপকে দুরন্ত গোল। ম্যাচের স্কোর ০-৩। দু’টি গোলের অন্যতম কারিগর বদলে যাওয়া সুভাষ ভৌমিক।

এরপর আরও দু’টি গোল করেছিল ইস্টবেঙ্গল। শিল্ড ফাইনালে পাঁচ গোলে পরাস্ত মোহনবাগান। ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসি ছিল সুভাষ ভৌমিকের।